শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১১

স্বাস্থ্যের জন্য চুম্বন


চুম্বন! নারী আর পুরুষ সম্পর্কের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতির অভিব্যক্তি। বলা হয়ে থাকে প্রেমের নীরব নিঃশব্দ ভাষা চুম্বন। দুটো ঠোঁটের সংস্পর্শে এতখানি অনুরাগ ও অনুভূতি চলাচল করে যা ভাষায় ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। নারী আর পুরুষের মধ্যকার ভালোবাসা প্রকাশে চুম্বনের কোনো বিকল্প নেই।

কিন্তু আমাদের সমাজ প্রেক্ষাপটে, দেশের সংস্কৃতির মুখপাত্র সেন্সর বোর্ড চুম্বনে যতটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে থাকে, তাতে চুম্বনকে ঘিরে সহজাত বহিঃপ্রকাশ ক্ষুণ্ন হতে বাধ্য। আমাদের সংস্কৃতিতে চুম্বন পাশ্চাত্যের মত তাৎক্ষণিক আনন্দ অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ পশ্চিমা সমাজে সাধারণ সহজাতভাবে ঘটে। এটিকে চুম্বন বা মল্যবোধের অবমূল্যায়ন বলা অনুচিত। সে সব দেশ ওপেন সেক্সের দেশ হলেও চুম্বনের আদম আর ইভের মত প্রাচীন এ হৃদয়াবেগ এখনও তার ভাবপ্রকাশ শক্তিতে অমলিন আর অনিবার্য।

হাজারো প্রকাশ!

চুম্বন কেবলি প্রিয়ার ঠোঁটে বা মুখে ঠোঁটের স্পর্শ? চুম্বনের এটি একটি স্বরূপ কিন্তু্তু এটিই সবকিছু নয়। এর হাজারো প্রকাশ তা হতে পারে আধ্যাত্মিক, ধার্মিক, শোনিত ও অশ্রুর ভাষা, দৈব মানবিকতা। স্থান কাল পাত্রভেদে। চুম্বন ভাবময়তার পরিবর্তন ঘটে। যেমন বিদায় মুহর্তের চুম্বনের অর্থ ভালো থেকো। পুনর্মিলনের সময় চুম্বনের অর্থ তুমি এলে। শুতে যাবার সময় শিশুর কপালে চুম্বন যেন শিশুর জন্য নিশ্চিত ঘুমের গ্যারান্টি, শিশুর শরীরে কোথাও ব্যথা লাগলে মা যখন সেই ব্যথার জায়গায় চুমু দেন তখন চুম্বন হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে কার্যপ্রদ ব্যথানাশক। সাংস্কৃতিক আঙ্গিকে চুম্বনের সাথে নানান প্রকাশ। আমরা এক্ষেত্রে কেবলমাত্র চুম্বনের মনোদিক আলোকপাত করব।

সুখের স্মৃতি!

যে সব ঘটনার সাথে মনের আবেগ জড়িয়ে আছে সে সব স্মৃতি সহজে বিস্মৃতি গহ্বরে হারিয়ে যায় না। তা সারাজীবনই একদম ঝরঝরে থেকে যায়। ঠিক এমনি এক অভিজ্ঞতা প্রথম চুম্বন যতই সময় গড়িয়ে যায় ততই মল্যবান হয়ে দাঁড়ায় প্রথম অভিজ্ঞতাগুলো। প্রথম চুম্বনই এতে একমাত্র নয়, তা হতে পারে প্রথম প্রেমপত্র, প্রথম প্রেমালাপ, প্রথম সপর্শ। তাইতো সারা পৃথিবীর সমস্ত সাহিত্য জুড়ে এদের জয়গান।

আহা কি মজা!

ঠোঁটের কোমল ত্বক বসিয়ে যে চুম্বন তা এত বেশি মোহনীয় কেনো? হৃদয়াবেগ প্রকাশে কেনো এর এত মহিমা? এর আসল মহাত্ম কোন জায়গাতে-ঠোঁটে না হৃদয়ে? ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মেলানোর ক্ষেত্রে হৃদয়োচ্ছ্বাস বন্যাটাই মেলে না অন্য কিছু। ঠোঁট কি কেবলি প্রতীকী? ব্যাপারটা কি পুরোপুরি মনের? যুক্তিবাদী বিজ্ঞানীদের ভাষ্য হল মনের আবেগ বাড়তি সুধার সম্ভার ঘটাতে পারে কিন্তু্তু মনই সবকিছু নয়। হতে পারে সাইকোলজিক্যাল, কিন্তু ফিজিওলজিকে উড়িয়ে দেবার জো নেই।



(১) ঠোঁটের কথাই ধরুন। ঠোঁটের ত্বক হল দেহের সবচেয়ে পাতলা ত্বক। দেহের বাইরের দিককার ত্বকের সবকটা অংশ করনিয়াম নামের আবরণে আবৃত থাকে। ঠোঁট এতে একমাত্র ব্যতিক্রম, তাইতো ঠোঁটের ত্বক এত বেশি কোমল, নমনীয়।



(২) কেবলমাত্র তা নয়, ত্বকের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণের যে সংবেদী অন্তণু বিদ্যমান, তাদের ঘনত্ব ঠোঁটের ত্বকে অন্য যে কোনো জায়গার চেয়েও অনেক বেশি। ঠোঁটের সংবেদনশীলতা সরাসরি মস্তিষক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঠোঁট দেহের অন্য যে কোনো জায়গা অপেক্ষা অনেক বেশি স্পর্শকাতর। মুখ আর ঠোঁট দেহের অন্যান্য যে কোনো অংশ হতে অন্য একটা বাড়তি গুরুত্ব রাখে তা হল মস্তিষেকর সংশিস্নষ্ট অঙ্গগুলো অনেক বেশি বিকশিত। আমাদের মস্তিষেকর এক এক অংশ দেহের এক একটা জায়গা নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।

ফ্রয়েড যেমনটি বলেছিলেন!

চুম্বনের আলাপচারিতায় না আনা হলে তা কোনো মতেই পূর্ণতা পায় না। ফ্রয়েড ঊনবিংশ শতাব্দীর একদম শুরুতেই মানব আচরণ সম্পর্কে এমন সব অভিনব ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যা চারিদিকে সাড়া ফেলে দেয়। ফ্রয়েড ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, জন্মানোর পরে বাচ্চা যখন স্তনপান করে তখন সে যে আনন্দ পায় তা কেবলমাত্র পেট ভরার আনন্দ নয়। মুখ দিয়ে টানার যে ব্যাপার থাকে তাতেও বাচ্চারা আনন্দ পায়, আসলে ঠোঁট বা মুখে বা মুখের মধ্যে আরেকজনের শরীরের উষ্ণতা মানুষকে আনন্দ দান করে, একটা মানসিক শান্তি ও মজা পায় মানুষ।

ফরাসি চুম্বন

এইডস যুগে ‘ফরাসি চুম্বন’ প্রসঙ্গ বেশ আলোচিত সমালোচিত। কারণ এটি নাকি এইডস ছড়াতে পারে। সাধারণ চুম্বনে কি এইডস ছড়ায় না? তাহলে সাধারণ চুম্বন হতে এ ফরাসি চুম্বনের বাড়তি বিশেষত্ব কি? আসলে সাধারণ চুম্বনে ঠোঁটের সাথে ঠোঁটের সপর্শ ঘটানো হয়। কিন্তু ফরাসি চুম্বনে কেবলমাত্র ঠোঁটের সপর্শ ঘটে না, জিহ্বাও এতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। জিহ্বার সাথে জিহ্বার মিলন মানে তো লালার আদান প্রদান। ঘাতক এইডস জীবাণু কিন্তু আক্রান্তদের লালাতে ঘুরে বেড়ায়। সুতরাং অসতর্ক হলে বিপদ ঘটে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কি ফরাসি চুম্বন একদম বন্ধ করে দিতে হবে? নিয়ম হল এটি আপনার অতি নিকটের অন্তরঙ্গ মানুষটির জন্য সংরক্ষণ করুন।

কার সাথে পথ চলবেন সারা জীবন?

আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বাজবে অনেকের বিয়ের সানাই। শীতের এই আমেজটা সে কথারই জানান দিয়ে যায়। কারণ, বাঙালিদের মধ্যে শীতকালেই বিয়ের একটা ধুম পড়ে। অনেকেরই বিয়ে হবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে, আবার কেউ বা শুভ কাজটি সেরে ফেলবেন পরিবারের পছন্দেই। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, যাঁকে বিয়ে করছেন, তাঁকে বিয়ে করাটা কতটুকু সঠিক হচ্ছে সেটা একটু ভেবে দেখবেন। শেষে না আবার বানরের গলায় মুক্তোর হার পরিয়ে বসেন।

ভাবছেন, নিজের বিয়ে নিয়ে নিজেই ভাববেন, এ নিয়ে লেখালেখির কী আছে! লেখার কারণটি হচ্ছে, নিউ জার্সির পাদ্রি প্যাট কনর ৪০ বছর ধরে গবেষণা করে বানরের গলায় মুক্তোর হার না পরাবার জন্য একটি তালিকা তৈরি করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন আট ধরনের পুরুষ, যাঁদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নারীদের মোটেও উচিত নয়।

ভাবছেন গালগল্প! মোটেও নয়। মার্কিন সাময়িকী গ্ল্যামার জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বসবাসকারী প্যাট কনর ৪০ বছর ধরে দম্পতিদের নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিয়ে-পূর্ব পরামর্শের পাশাপাশি এ পর্যন্ত দুই শতাধিক দম্পতির বিয়েও পড়িয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভুল পুরুষকে বিয়ে করার কুফল সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য নিজ উদ্যোগে তিনি হাইস্কুলের ছাত্রীদেরও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কনর বিশ্বাস করেন, আত্মার বন্ধু বলে কেউ নেই। শুধু প্রেমিকদের সঙ্গেই অঙ্গীকার করা যায়। তিনি তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ব্যক্তির সঙ্গে গভীর প্রণয়ে জড়িয়ে যেতে পারেন, তাই বলে ওই প্রেমিক বা ব্যক্তির কাছ থেকে সফল দাম্পত্য জীবন পাওয়া যাবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। হবু স্বামীর চরিত্র, মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নেওয়ার জন্যও মেয়েদের পরামর্শ দিয়েছেন কনর।


এবার জেনে নেওয়া যাক ওই আট ধরনের পুরুষ সম্বন্ধে যাঁদের বিয়ে করা উচিত নয়। এঁদের মধ্যে রয়েছেন—মায়ের আঁচল ধরে থাকা ছেলে; যে পুরুষ ঠিকভাবে অর্থকড়ির ব্যবস্থাপনা করতে পারে না; যাঁর কোনো বন্ধু নেই; যে পুরুষ লোকজনের মাঝে প্রেমিকাকে একা ছেড়ে যায়; রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে ওয়েটারদের সঙ্গে খারাপ আচরণকারী; যিনি হাসিখুশি থাকেন না; যিনি কর্তৃত্ব ভাগাভাগি করতে পারেন না এবং প্রেমিকার চাহিদার বিপরীতে যে পুরুষ নিজের চাহিদার কথা জানান না।

স্ত্রীকে ভালোবাসুন সুখী হবেন


পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হল স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। অবশ্য এই সম্পর্কের মাঝে থাকতে হয় গভীর ভালোবাসা, সত্য সুন্দর ভালোবাসা। বিজ্ঞান বলে ভালোবাসাই একটি নারী ও একটি পুরুষের মাঝে হৃদয়ের অটুট বন্ধন তৈরি করে দেয়, তৈরি করে সাংসারিক বন্ধন। ভালোবাসা ব্যতীত কোনো সাংসারিক জীবন, দাম্পত্য জীবন কখনই সুখের হয় না। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক। একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজন শূন্য ফাঁকা। একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনকে ভাবাই যায় না। যে কোনো সংসারেই সাবলীল ও মধুর আনন্দ বজায় রাখতে হলে দরকার দু’জন দু’জনার ঐকমত্য। অবশ্য এই ঐকমত্য সবসময় সর্বক্ষেত্রেই সমান হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আসল কথা হল দু’জন দু’জনার সংসার জীবন কিভাবে সুখ সমৃদ্ধতায় ভরিয়ে তোলা যায়, কি করলে দু’জনার মাঝে মনের আদান-প্রদান চমৎকারভাবে অক্ষুণ্ন রাখা যায় সে ব্যাপারেই ঐকমত্য থাকার চেষ্টা করতে হয়।

একজন সুন্দর মনের সুন্দর গুণের অধিকারী স্ত্রী সংসারকে তার নিজের আলোয় আলোকিত করে তুলতে পারে, সাজিয়ে তুলতে পারে সংসার জীবনকে সুখের স্বর্গীয় বাগানের মতো করে। তবে এই কাজের জন্য দরকার প্রেমিক স্বামীর স্ত্রীর প্রতি ঐকান্তিক মায়া-মমতা ও সুগভীর ভালোবাসা। স্ত্রীকে স্বামীর বোঝার চেষ্টা করতে হবে বুঝতে হবে। মনে রাখবেন আপনার প্রিয়তমা স্ত্রীকে আপনি যত বেশি বুঝবেন তত বেশিই তার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারবেন, তত বেশি সংসার জীবনে সুখী হতে সক্ষম হবেন। সুখ সবসময় নিজে থেকে এসে ধরা দেয় না তাকে ধরতে হয়, তৈরি করে নিতে হয় চমৎকার রূপে। তাই এজন্য স্বামী স্ত্রীর দু’জনার মাঝে থাকতে হয় প্রচুর আত্মবিশ্বাস ও বনিবনা এবং সুনিপণ ঝলমলে বিকশিত প্রগাঢ় ভালোবাসা।

স্ত্রীর কথা ও কাজকে গুরুত্ব দেয় বুদ্ধিমান ও রোমান্টিক স্বামীরা। তারা জানে যে, স্ত্রীকে হেয় করে দেখলে বা তার কথা বা কাজকে অবহেলা করলে কিংবা গুরুত্ব না দিলে তা কখনই মঙ্গল ডেকে আনবে না। আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে আপনার স্ত্রীকে একজন সহধর্মিনী একজন খাঁটি বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে নিন। এতে করে সে আপনার প্রতি আরো বেশি আন্তরিক ও আরো বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবে, হয়ে উঠবে বিশ্বস্ত জীবন সঙ্গিনী। মনোবিজ্ঞান বলে ছোট বড় যে কোনো ধরনের কাজ করার আগে নিজের স্ত্রীর সাথে তা খোলা মনে আলাপ আলোচনা বা পরামর্শ করে নিলে সে কাজে সুফল আসবে কর্ম উদ্দীপনা প্রস্ফুটিত হবে। হয়ত কোনো কাজের মধ্যে বা কোনো পদক্ষেপে ভুল লুকিয়ে আছে সে ভুলটি হয়ত আপনার স্ত্রী আপনাকে দেখিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে। এতে করে আপনি হয়ত আসন্ন অনেক উটকো ঝামেলা বা অবাঞ্চিত বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন বা তার জন্য আগেভাগেই মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার মন চাপমুক্ত হতে পারবে, টেনশন লাঘব হবে।

স্বামী-স্ত্রীর মিলিত ভালোবাসা মিলিত বুদ্ধি ও চিন্তা ভাবনার সমন্ব্বয়েই একটি ছোট সুখের সংসার জীবন গড়ে উঠতে পারে। আর স্ত্রীর ওপর কখনই অযথা রাগ করা উচিত নয়। কারণ অসুন্দর রাগ প্রিয়তমা স্ত্রীর সুন্দর আবেগ অনুভূতিকে দারুণভাবে নষ্ট করে দিতে পারে। এতে করে ঝরঝরে, সতেজ, প্রাণবন্ত মায়া-মমতাও একসময় পানসে হয়ে যেতে পারে। যা কিনা কখনই কারো কাম্য হওয়া উচিত নয়।

শেষ কথা

সাইকোলজিক্যাল সাইন্স বলে আপনি প্রেমিক স্বামী হিসেবে স্ত্রীর প্রতি আপনার মনের আবেগ-অনুভূতি, কামনা বাসনা, আকাক্ষা প্রকাশ করুন। তা শুধু নিজের মনের মধ্যেই লুকিয়ে রাখবেন না যেন। আপনি প্রতিদিনই আপনার আদরের প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর প্রতি কথা বার্তা, গল্প গুজব, দুষ্টামি, আকার, ইঙ্গিত, সপর্শ, চুমো ইত্যাদি নানাভাবে আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করুন। ছড়িয়ে- ছিটিয়ে দিন আপনার অন্তরের লুকানো অনুভূতি। তাকে জানান যে, আপনি তাকে কত বেশি ভালোবাসেন, কত বেশি ফিল করেন, কত তাকে একাকীত্ব মিস করেন।

সুযোগ পেলেই আপনার প্রিয়তমা স্ত্রীকে কাছে টেনে নিন, বুকে জড়িয়ে ধরে মিষ্টি করে একটা চুমো দিয়ে তাকে বলুন ‘জান! আমি যে তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি, তুমি তো আমার সব কিছু, তুমি নেই তো কিছুই নেই, তুমি আমার আত্মা আমার কলিজার টুকরা, আমার সাথী, আমার সুখ, আমার জীবন তুমি’।

দেখবেন আপনার আদরের স্ত্রীও আপনাকে অনুরূপভাবে বুকে জড়িয়ে ধরবে, আপনাকেও সে আদর ভরে প্রচুর মমতা দেবে, সুখ দেবে ভালোবেসে। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। আর এভাবেই আপনাদের দু’জনার দুটি হৃদয় মাঝে ভালোবাসার সুখ শিহরণ ছড়িয়ে পড়বে। দুটি মন একাত্ব হবে, মিশে থাকবে জীবন ভর।

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১

মেয়েরা যে আসলে কি চায় তারা নিজেও জানে ন

*মেয়ে দের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো অর্থনৈতিক নিরাপত্তা।

যদিও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাও তারা মার্কেটে যায় এবং ব্যয়বহুল জামা কিনে।

যদিও তারা ব্যয়বহুল জামা কিনে তাও তারা পড়ার মতো কিছু পায় না।

যদিও তারা পড়ার মতো কিছু পায় না তবুও তারা অনেক বেশি সাজগোজ করে।

যদিও তারা অনেক বেশি সাজগোজ করে তাও তারা সন্তুষ্ট হয় না।

যদিও তারা সন্তুষ্ট হয় না তাও তারা চায় যে ছেলেরা যেনো তাদের প্রশংসা করে।

যদিও তারা চায় যে ছেলেরা যেনো তাদের প্রশংসা করে তাও তারা আবার ছেলে দের কথায় বিশ্বাস করে না।

মেয়েরা যে আসলে কি চায় তারা নিজেও জানে না।

বি দঃ :p ( সকল মেয়ের জন্য প্রযোজ্য নয় )

সূত্র:
ক্লিক ব্লগ

কিডনি সুরক্ষায় দশ পদ

আমরা সবাই জানি সুষম খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই নিত্য নতুন খাদ্যের উপকারী বিভিন্ন দিক উন্মোচন করে চলেছেন। এরকম কিছু খাবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে কিডনি সুরক্ষায় বিশেষ খাদ্য হিসাবে, যেগুলো স্বাস্থের জন্যও উপকারী।

এগুলোকে কেন বিশেষ খাদ্যের তালিকায় রাখা হয়েছে এটা বুঝতে হলে আমাদের প্রথমত অক্সিডেশন বা জারণ এবং ফ্রি রেডিকেলস বা মুক্ত পরমাণু সম্পর্কে জানতে হবে। অক্সিডেশন শরীরের একটি স্বাভাবিক জৈবিক ক্রিয়া যা শক্তি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এ ধরণের বিক্রিয়া প্রায়ই বিভিন্ন ফ্রি রেডিকেলস তৈরী করে, যা শরীরের বিভিন্ন স্থানে অবাধ বিচরণ করতে থাকে এবং এরা প্রোটিন,ডি.এন.এ, কোষ ইত্যাদি অঙ্গাণুর ক্ষতি সাধন করে। ধারণা করা হয় এগুলো বার্ধক্য এবং বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি রোগ ইত্যাদির জন্য দায়ী।

তবে আশার কথা হলো উক্ত বিশেষ খাদ্যগুলোয় প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি রেডিকেলস দূর করতে সহায়তা করে।

এরকম দশটি বিশেষ খাদ্যকে গুরুত্ব সহকারে চিহ্নিত করা হয়েছে:

১. ক্যাপসিকাম: আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে ক্যাপসিকাম হতে পারে প্রথম পছন্দ। সালাদ এবং যে কোন রান্নাকে সুস্বাদু করতে এর জুড়ি নেই। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, ফলিক এসিড এবং ফাইবার। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন এর প্রধান উপাদান, যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক।

২. বাধাকপি: বাধাকপিকে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর খনি বললেও ভুল হবে না। এরা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলস এর বিরুদ্ধে কাজ করে আপনার কিডনিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ক্যান্সার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধেও কাজ করে। দামে সস্তা হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন কে,সি,বি৬,ফলিক এসিড, প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ বাধাকপি হতে পারে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার অন্যতম উপাদান।

৩. ফুলকপি: বাধাকপির মতো ফুলকপিও পুষ্টি উপাদান ভরপুর। ফুলকপির একটি বিশেষগুণ হলো এটি শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে।

৪. রসুন: রসুনের গুণের কথা আমাদের সবারই জানা। এটি কিডনি প্রদাহ উপশম করার পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান কমায়। কিডনি রোগীদের জন্য এর কোন বিকল্প নেই।

৫. পেঁয়াজ: পেঁয়াজের এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফ্লাভনয়েড, যা রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিহত করে। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট কিডনি জনিত উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এর ভমিকা রয়েছে।

৬. আপেল: বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে তা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে, হৃদরোগ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা অনন্য।

৭. লাল আঙুর: এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভনয়েড, যা আপনার কিডনিকে রাখবে সদা তরুণ। এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

৮. ডিমের সাদা অংশ: আমরা অনেকেই স্বাস্থের কথা চিন্তা করে ডিমকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেই। কিন্তু আপনি কি জানেন ডিমের সাদা অংশই হচ্ছে বিশুদ্ধ প্রোটিন, যা আপনার কিডনির জন্য খুবই দরকারী।

৯. মাছ: মাছকে বলা হয়ে থাকে নিরাপদ প্রোটিনের উৎস। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের চেয়ে মাছের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি মাছে রয়েছে ওমেগা৩ যা কিডনি, হার্ট এবং লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী। এছারাও কোলেস্টেরল কমাতে এর ভূমিকা তো রয়েছেই।

১০. অলিভ ওয়েল: গবেষণায় দেখা গেছে যেসব দেশে অন্যান্য তেলের চেয়ে অলিভ ওয়েল বা জলপাই এর তেল ব্যবহার করা হয় সেসব দেশে কিডনি রোগ, হৃদরোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি তুলনামূলক কম হয়। অলিভ ওয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পলিফেনল যা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে চমৎকার কাজ করে। রন্নায় অথবা সালাদে অলিভ ওয়েল ব্যবহার বাড়তি স্বাদ যোগ করে।
আপনি যদি স্বাস্থ সচেতন হন অথবা যদি বিশ্বাস করেন রোগ উপশমের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম, তাহলে সঠিক খাদ্যাভাসে খুব সহজেই থাকতে পারেন রোগবালাইয়ের ঝামেলা থেকে মুক্ত।

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

প্রেম - কত প্রকার ও কি কি - সবিস্তারে বর্ননা (১৮+ পোস্ট)


১. প্রথম প্রেম: জীবনের প্রথম প্রেম সবার কাছেই স্মরনীয় হয়ে থাকে। প্রথম প্রেমের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খুব কম বয়সে প্রথম প্রেম এসে থাকে। প্রথম প্রেম বেশিরভাগ সময়ই আদতে প্রেম হয়না, সেটা হয়ে থাকে Infatuation। প্রথম প্রেম হতে পারে কোন বাল্য বন্ধু, হতে পারে গৃহশিক্ষক বা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা, হতে পারে বয়সে বড় কোন আপু, হতে পারে কোন ফিল্মের নায়ক বা নায়িকা, হতে পারে পাড়ার কোন হ্যান্ডসাম তরুনী বা বড়ভাই। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার জীবনের প্রথম প্রেমই একমাত্র প্রেম।

২. প্রথম দেখায় প্রেম/Love at First Site: প্রথম দেখাতেই এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেম অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়। প্রথম দেখাটা হতে পারে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে, শপিং মল, কলেজ, ভার্সিটি, কোচিং সেন্টারে, স্যারের বাসায়, বন্ধু আড্ডায়। এমনকি বন্ধুর মোবাইলে ছবি দেখেও এ ধরনের প্রেমের শুরু হতে পারে। এ ধরনের প্রেমে প্রায় অবধারিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের (বন্ধুকূল বা বড়ভাই) সাহায্যের দরকার পড়ে। এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাতে রূপ সৌন্দর্য্য ও দৈহিক সৌন্দর্য্যের ভুমিকাই বেশি।

৩. বন্ধুত্ব থেকে প্রেম: এই ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে প্রেমিক ও প্রেমিকা দু'জনেই প্রথমে বন্ধু থাকে। আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব কালের বিবর্তনে প্রেমে রূপ নিতে থাকে, অনেক সময়ই দু'জনেরই অজান্তে। তবে আশেপাশের মানুষ (বিশেষত বন্ধুকূল) কিন্তু ঠিকই খেয়াল করে। দুঃখজনকভাবে এধরনের প্রেম অনেক সময়ই অকালে ঝরে যায় কোন একতরফা সিদ্ধান্ত বা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। অনেকে বন্ধুত্বের এই রূপান্তর মেনে নিতে পারেনা বলে অনুশোচনায় ভোগে - বিশেষত মেয়েরা।

৪. একরাতের প্রেম/One Night Stand: এগুলোকে প্রেম বললে পাপ হবে। ৯০% ক্ষেত্রেই ছেলেরাই এ ধরনের প্রেমের আয়োজক। দৈহিক বাসনাকে পূর্ণতা প্রদান করাই এই প্রেমের প্রধান উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য পূরণের পূর্বে কিছু নাম মাত্র ডেটিং হতে পারে। উদ্দেশ্য পূরণের জনপ্রিয় স্থান: কোন হোটেল, খালি ফ্ল্যাট, সমুদ্রতীরবর্তী কোন শহর।
এই ধরনের প্রেমের মূলমন্ত্র হলো:
"আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোনোদিন নয়........"

৫. বিবাহোত্তর প্রেম: এই প্রেম শুধুমাত্র স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দেখা যায়। বিয়ের ঠিক পর পর প্রথম কয়েক মাস এই প্রেম প্রবল থাকে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পূর্বপরিচিত নয় এমন দু'জনের মধ্যে এ্যারেন্ঞ্জ বিয়ে হলে এই ধরনের প্রেম প্রবল রূপে পরিলক্ষিত হয়। প্রেম করে বিয়ে হলে সেক্ষেত্রে বিবাহোত্তর প্রেমে ভাঁটা পড়ে বলে একটি মতবাদ প্রচলিত আছে, কবে এর সত্যতা পরীক্ষিত নয়। বিবাহোত্তর প্রেম ফলাতে হানিমুনের জুড়ি নেই।

৬. পরকীয়া প্রেম: বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে। পরকীয়া প্রেমের মূল কারনগুলো হলো:

ক. সময়ের সাথে সংসার জীবনের প্রতি অনাগ্রহ বা তিক্ততা চলে আসা।
খ. শারীরিক চাহিদা পূরণে স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি একঘেঁয়েমি চলে আসা।
গ. শারীরিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর অক্ষমতা বা অপূর্ণতা।
ঘ. নিতান্তই এ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়তা, লুকিয়ে প্রেম করার স্বাদ অনুভব করা।

মহিলাদের মধ্যে পরকীয়া এদেশে এখনো ততোটা জনপ্রিয় নয় যতোটা পুরষদের মধ্যে। পুরুষদের পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি কম বয়সী কোন অল্প বয়সী মহিলা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে যুবতীও হয়ে থাকেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি সাধারণত কোন মধ্যবয়সী পুরুষ হয়ে থাকেন। ৩০-৪৮ বছর বয়সীদের মধ্যে পরকীয়া প্রেম বহুলভাবে পরিলক্ষিত হয়।

৭. অপরিণত প্রেম/কম বয়সে প্রেম/না বুঝেই প্রেম: এ ধরনের প্রেম সাধারণত স্কুলে পড়ুয়া অবস্থায় হয়ে থাকে। মেয়েরাই এ ধরনের প্রেমে বেশি পড়ে। তবে ছেলেরাও পড়ে। প্রেমিক প্রেমিকাদের দু'জনই সমবয়সী হতে পারে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেমিক তার চেয়ে বয়সে বড়ও হতে পারে। তবে এ ধরনের প্রেমের সাফল্যের হার কম - অর্থাৎ এ ধরনের প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় খুব কম ক্ষেত্রেই।

৮. কর্মক্ষেত্রে প্রেম: কর্মসূত্রে দু'জন মানুষের পরিচয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। উক্ত দু'জন হতে পারেন কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর দু'জন কর্মকর্তা অথবা কোন প্রজেক্টে পরস্পরের পার্টনার। অফিসে নতুন জয়েন করেছেন এমন কোন মেয়ের সাথে এরূপ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য অফিসের পুরুষ কর্মকর্তাদের মাঝে তাগিদ দেখা যায়। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।

৯. মোবাইল প্রেম: বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বা ফোনবুক থেকে চুরি করে, পাড়ার ফ্লেক্সির দোকান থেকে সংগ্রহ করে, অন্য কোন সুত্র থেকে নাস্বার পেয়ে বা নিতান্তই মনের মাধুরী মিশিয়ে কোন নাম্বার বানিয়ে তাতে ফোন করে কোন মেয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক সময় মোবাইলে এভাবে কথা বলে ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমের সফলতার হার খুবই কম। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতা এ ধরনের প্রেমের মূল উদ্দেশ্য নয়।

১০. ইন্টারনেটে প্রেম: ইন্টারনেটে চ্যাটিংয়ে বা সোসিয়্যাল মিডিয়া সাইটে (যেমন - ফেইসবুক, মাইস্পেস) দু'জনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের একজন বিদেশে অবস্থান করে। এভাবে পরিচয়ের পর ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমে উভয়পক্ষেরই ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে অনেক। অনেক সময়ই কোন ছেলে মেয়ে সেজে অন্য কোন ছেলের সাথে এমন সম্পর্ক চালিয়ে যায়। আর তাই অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের সম্পর্ক প্রতারণায় পরিণত হয়। পূর্বে এ ধরনের প্রেমের সাফল্যের হার বেশি থাকলেও বর্তমান সময়ে এসে সাফল্যের হার কম।

১১. ত্রিভূজ প্রেম: এ ধরনের প্রেমকে বলা যেতে পারে একজন মেয়েকে নিয়ে দু'জন ছেলের টাগ-অফ-ওয়ার বা দড়ি টানাটানি। একই মেয়ের প্রতি দু'জন ছেলের ভালোবাসা এই প্রেমের মূলকথা। উক্ত মেয়েকে পেতে দু'জন ছেলেই মরিয়া থাকে। ত্রিভূজ প্রেমের ক্ষেত্রে প্রায়শঃই মেয়েরা মানসিক দ্বন্দে ভোগে - কাকে পছন্দ করবে এই নিয়ে। অনেক সময়ই ছেলে দু'জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা রূপ নেয় মারামরিতে। দু'জন মেয়ে আর একজন ছেলের মধ্যেও ত্রিভূজ প্রেম লক্ষিত হয়। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা মারামারিতে নয় বরং রূপ নেয় চুলোচুলিতে।

১২. বহুভূজ প্রেম/Multi প্রেম: একই মেয়ে বা ছেলের প্রতি ২ এর অধিক ব্যাক্তির অনুরাগই মূলতঃ বহুভূজ প্রেম। এক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে বা ছেলেটি স্বভাবতই দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য্যের অধিকারী হয়ে থাকেন। সবাই তার সাথে প্রেম করতে চায় এই বিষয়টি তাকে ব্যাপক আনন্দ দেয়।

১৩. অসমবয়সী প্রেম: এ ধরনের প্রেমের বৈশিষ্ট্য প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে বয়সের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান। যদিও মেয়ের চাইতে ছেলে কয়েক বছর বড় হলেও তা স্বাভাবিক প্রেম হিসেবে ধরা হয়, তথাপি, যদি পার্থক্য খুব বেশি হয় - যেমন ১২ বছর তবে তা অসমবয়সী প্রেম হিসেবে ধরা হয়। মজার ব্যাপার হলো ছেলের চাইতে মেয়ে এক বছরের বড় হলেও তা অসমবয়সী প্রেম হয়ে হিসেবে ধরা হয়। অসমবয়সী প্রেমকে এ সমাজে বাঁকা চোখে দেখা হয়, বিশেষত যদি মেয়ে ছেলের চাইতে বয়সে বড় হয়। অসমবয়সী প্রেম বিয়েতে রূপ নিলে দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ হয় না বলে একটি মতবাদ এদেষে প্রচলিত আছে, কিন্তু এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।

১৪. শারীরিক প্রেম/শরীর সর্বস্ব প্রেম: প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে শরীরি আকর্ষণই এই প্রেমের মূল উপাদান। আবেগ ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

১৫. দুধের মাছি প্রেম/অর্থসর্বস্ব প্রেম: "যতোদিন টাকা আছে, ততোদিন সম্পর্ক" - অনেকটা এই নীতির বলে এই ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। অবশ্যই ছেলেরাই টাকা ব্যয় করে থাকে এসব ক্ষেত্রে। ধনীর ঘরের ছেলেদের পক্ষে এই ধরনের সম্পর্ক বেশিদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়। তবে মোটামুটি আয়ের ছেলেরা খরচের ঠেলায় অল্পদিনেই হাঁপিয়ে ওঠে, সম্পর্কও আর বেশিদিন থাকেনা। তখন ঐসব মেয়েরা অন্য ছেলের খোঁজে বেরোয়।

১৬. ঈর্ষাণ্বিত প্রেম: "অমুক ছেলে প্রেম করে, আমাকেও করতে হবে" বা "অমুকের বয়ফ্রেন্ড আছে,আমারো চাই" - অনেকটা এমনতর মানসিকতা থেকে এসব প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেমগুলো অনেক সময়ই সাময়িক হয়ে থাকে। অধিকাংশ সময়ই বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড মনের মতো না হলেও প্রয়োজনের তাগিদে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া হয়।

১৭. জেদের বশে প্রেম: পূর্ববর্তী বা বর্তমান বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডকে অনেকটা দেখিয়ে দেয়ার ("তুমি ছাড়াও আমার প্রেম করার লোকের অভাব নেই.......") উদ্দেশ্যে যাকে সামনে পাওয়া যাবে ধরে তার সাথে প্রেম করাই এ ধরনের প্রেমের মূল লক্ষ্য। মনের মতো লোক পাওয়ার বিষয়টি এখানে নগণ্য।

১৮. চড়িয়ে খাওয়া প্রেম/গাধাখাটুনি প্রেম/ঘানি টানা প্রেম: প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছ থেকে কোন বিশেষ সুবিধা লাভই এ ধরনের প্রেমের উদ্দেশ্য। ক্লাসের ভালো রেজাল্ট করা মেধাবী ছাত্রটি এ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় শিকার হিসেবে পরিগণিত হয়। মেয়েদের মধ্যে এ ধরনের প্রেমের প্রচলণ বেশি দেখা গেলেও ছেলেদেরকেও মাঝে মাঝে করতে দেখা যায়।

১৯. অব্যক্ত প্রেম/না বলা প্রেম: নীরবে এক অপরকে ভালোবেসে গেলেও পরিস্থিতি, সময় বা মনোবলের অভাবে প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে কেউই একে অপরকে কোনোদিন বলেনি। অব্যক্ত প্রেম হারানোর বেদনা খুব কষ্টদায়ক, জীবনের অন্যতম বড় ভুল হিসেবে মনে থাকে।

২০. সুপ্ত প্রেম: একে অপরকে ভালোবাসে কিন্তু কেউই কাউকে বলছে না, পুরো ব্যাপারটাই লুকিয়ে যাচ্ছে এমন প্রেমই সুপ্ত প্রেম। সুপ্ত প্রেম আজীবন সুপ্ত থেকে গেলে তা পরিণত হয় অব্যক্ত প্রেমে।

২১. চুক্তিবদ্ধ প্রেম: এ ধরনের প্রেম হয় পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে। সাধারণ অর্থে প্রেম বলতে যা বোঝায় তা এই ধরনের প্রেমে অনুপস্থিত থাকে। কোন ভবিষ্যৎ থাকেনা এসব সম্পর্কের। মূল উদ্দেশ্য হলো কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যে প্রেম দেখিয়ে কোন বিশেষ স্বার্থ চরিতার্থকরণ। শোবিজ ও মিডিয়ার তারকাদের মধ্যে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।

২২. মিথ্যে প্রেম/অভিনয় প্রেম: এ ধরনের প্রেমে প্রেমিক বা প্রেমিকার দু'জনের যেকোন একজন প্রেমের অভিনয় করে যায়। যখন প্রেমিক বা প্রেমিকার কেউ একজন ভবিষ্যতের কথা ভাবতে আরম্ভ করে তখন এই প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। এ ধরনের প্রেমের পরিণতিও যেকোন একজনের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।

২৩. ২য় ইনিংস প্রেম/Old is Gold প্রেম/Revived প্রেম: পূর্ববর্তী বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে পুনরায় জুড়ে গিয়ে এই প্রেম করা হয়।

২৪. ব্ল্যাকমেইল প্রেম/অনিচ্ছাপূর্বক প্রেম/জোড় খাটানো প্রেম: এটাকেও প্রেম বললে পাপ হবে। জোড়পূর্বক এসব প্রেম করা হয়ে থাকে। এর শিকার হয়ে থাকে মেয়েরাই। পাড়ার বখাটে ছেলে বা বড় ভাই, কলেজের বখাটে ছাত্র, কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ কর্মকর্তা বা বস প্রধানত এরাই এ ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী হন।

২৫. গায়ে পড়ে প্রেম/নাছোড়বান্দা প্রেম: মেয়ে কোন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নয় তবুও ছেলে জোড় চেষ্টা চালিয়ে যায় এমন প্রেমে। অনেক সময়ই এমন পরিস্থিতিতে মেয়েরা সরাসরি না বলতে পারে না যার মাশুল তাদেরকে পরে দিতে হয়।

২৬. বিদেশী প্রেম/পরবাসী প্রেম: এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের মধ্যে অন্ততঃ একজন বিদেশী হয়।

২৭. অসাম্প্রদায়িক প্রেম: এ ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে দু'জনে দুই ধর্ম বা সম্প্রদায়ের অনুসারী হয়ে থাকে। সমাজ এ ধরনের সম্পর্ককে সমর্থন করেনা। বিশেষতঃ হিন্দু-মুসলমান ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম বেশি বিতর্কের সৃষ্টি করে।

২৮. চাঞ্চল্যকর প্রেম/আলোচিত প্রেম: এ ধরনের প্রেমে প্রেমিক ও প্রেমিকা যাই করেন না কন তা মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হিসেবে প্রচার করা হয়। সাধারণত শো-বিজ আর মিডিয়ার তারকা ও সেলিব্রেটিরা এ ধরনের প্রেম করে থাকেন।

২৯. ঐতিহাসিক প্রেম: এইসব প্রেমের কাহিনীর অবসান ঘটেছে অনেক আগেই কিন্তু আজো রয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়। এখনো এসব প্রেমকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়।

৩০. ভাড়াটে প্রেম/ভ্রাম্যমাণ প্রেম/Roaming প্রেম: এ ধরনের প্রেমের প্রেমিক বা প্রেমিকারা বলতে গেলে ভাড়া খাটে। তারা সকালে একজনের গার্লফ্রেন্ড তো বিকেলে আরেকজনের। কোন নির্দিষ্ট ঠিক ঠিকানা নেই। ব্যাপারটা অনেকটা মাসে মাসে মোবাইল হ্যান্ডসেট চেন্ঞ্জ করার মতো।

৩১. প্রেমময় প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক আর প্রেমিকা দু'জনেই একজন আরেকজনের দিকে প্রেমময় ভঙ্গিতে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকেন, হাত ধরে বসে থাকেন কোন রেস্টুরেন্টের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে, সারাক্ষণ I Love You বলে আর শুনেও ক্লান্তি আসে না তাদের। সারাদিন প্রেমের পর মোবাইলে ১২টার পরও কম জান না তারা।

৩২. ঝগড়াটে প্রেম: সারাক্ষণ দু'জনের মধ্যে খিটির-পিটির লেগে থাকাটা এই প্রেমের বৈশিষ্ট্য। কিছুক্ষণ হয়তো দু'জনে শান্ত থাকে, তারপর আবার কিছু না কিছু একটা নিয়ে একজন শুরু হয়ে যায়। এ ধরনের প্রেমে ঝগড়াগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু খুব ঘনঘন হয়। ঝগড়াগুলো অধিকাংশই হয় ফোনে। বন্ধুকূল সর্বদা দু'জনের ঝগড়া মিটাতে ব্যস্ত থাকে। মেয়ে তার সখীদের কাছে এই ঘনঘন ঝগড়ার কথা বলে বেড়ায়।

৩৩. সমলিঙ্গীয় প্রেম: আমাদের দেশে এখনো খুব একটা প্রচলিত না হলেও বাইরের অনেক দেশেই এই ধরনের প্রেমের প্রচলণ আছে। দু'জন ছেলের মধ্যে হলে তাদেরকে Gay বলে আর দু'জন মেয়ের মধ্যে হলে Lesbian।

৩৪. অমিল প্রেম/দুনিয়াছাড়া প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে কথাবার্তা, মত, পছন্দ, অপছন্দ কোন দিক দিয়েই কোন মিল থাকেনা, তারপরও কিভাবে যেন সম্পর্ক টিকে থাকে।

৩৫. 'আজো তোমায় ভালোবাসি' প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক-প্রেমিকার বিচ্ছেদ ঘটেছে আগেই। তবুও আজো তারা একে অপরকে ভালোবাসেন। নীরবে চেয়ে যান সেই মানুষটির সঙ্গ যার সাথে একসঙ্গে জীবন কাটাতে পরিস্থিতিই ছিলো একমাত্র ও সবচেয়ে বড় বাধা।

৩৬. ব্যর্থ প্রেম: এবং সবশেষে আছে ব্যর্থ প্রেম। এ প্রেম শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায়। ব্যর্থ প্রেমিকার চাইতে ব্যর্থ প্রেমিকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। ব্যর্থ প্রেমের শেষটা হয় প্রস্তাব প্রত্যাখান দিয়ে। কখনো কখনো ছেলেদের ভাগ্যে জোটে থাপ্পড়, মেয়েদের জুতার বাড়ি আর কখনো কখনো গণধোলাই। অনেক সময়ই ব্যর্থ প্রেমের পরিণতি হয় করুন। কেউ দেবদাস হয়ে যায়, কেউবা মেয়েদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে ও "দুনিয়ার সব মেয়ে এক" এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। দুর্বল মানসিকতার কেউ কেউ আত্মহননের পথও বেছে নেয়।

* প্রেম খুবই পরিবর্তনশীল ও ব্যাক্তিভেদে এর সংজ্ঞা ভিন্ন। আর আমার দেয়া প্রকারভেদগুলোর সাথে কারো কারো দ্বিমত থাকাটা স্বাভাবিক। আমি দাবী করছি না এখানে সব ধরনের প্রেমের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু অনেক ধরনের কথা বলা হয়েছে এটা সত্য। প্রকারভেদগুলো আলোচনার সময় যতোটা সম্ভব নিরপেক্ষতা অবলম্বনের চেষ্টা করা হয়েছে। কারো কারো কাছে এই প্রচেষ্টা ধৃষ্টতা মনে হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

* আমি জানি আপনাদের কাছেও অনেক ধরনের প্রকারভেদ আছে প্রেমের। তার কোনটি এই পোস্ট অনুপস্থিত থাকলে মন্তব্যতে যোগ করে দিন। আমি পোস্টে যোগ করতে পেরে আনন্দিত বোধ করবো।

ছেলেদের ব্রেক আপ


১ম পর্যায়, "আমার মন মানে না...":
এই পর্যায়টা ব্রেক আপের সবচেয়ে ইমোশনাল পর্যায়। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণও - কেননা এই সময়ে নেয়া যে কোন সিদ্ধান্ত আলটিমেটলি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

ব্রেক আপের এ পর্যায়ে কারো ভেতর থেকে যে ইমোশনগুলো বেরিয়ে আসে তা একদমই Raw ইমোশন। অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ইমোশনটা বেরোয় বুক ফাটা কান্না বা তীব্র মানসিক বেদনার রূপে। তবে ব্যতিক্রমী কারো কারো ক্ষেত্রে ব্রেকআপ স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে যেটাই হোক না কেন, তা স্বাভাবিকের বাইরে, এর সবই আবেগের বশে।

যাদের জন্য ব্রেকআপটা কষ্টের তাদের মন মানেনা... "কেন আমিই এতো দুর্ভাগা" - এই প্রশ্ন বারবার ফিরে আসে মনে।

ব্রেক ঠিক পরপর এই তাৎক্ষণিক পর্যায়টিতে অধিকাংশ মানুষ ৩টি কাজের একটি করে:

ক. নিজের ক্ষতি করে (আত্মহত্যা, ড্রাগস ইত্যাদি)
খ. যে মেয়ের সাথে রিলেশন ছিলো তার ক্ষতির চেষ্টা করে (ফেইসবুক/ইমেইল হ্যাক, নেটে বাজে ছবি ছাড়া, মোবাইল নাম্বার ম্যানিপুলেশন)
গ. যার কারণে এই ব্রেক আপ (অন্য আরেক ছেলে হতে পারে) তার ক্ষতির চেষ্টা করে।

এবং আরেকটি টাইপ আছে যারা এই ৩টির একটিও করে না - They just let it go. এরা আবার ৩ প্রকার:

ক. মন খারাপ করে থাকার দল
খ. ‌'এই বেশ ভালো আছি' বেশ ধরা দল
গ. ঘন্টায় ঘন্টায় নতুন রিলেশন আর ব্রেকআপের কারণে এদের মনে ব্রেকআপ আর নতুন করে কোন অনুভূতির জন্ম দেয় না - সেই দল (সঙ্গতঃ কারণেই এই পোস্টে তাদের কথা আলোচনা করা হয়নি)

উপর্সগ:
১. শুধু ওকে ফোন দিতে ইচ্ছে করে/দেখা করতে ইচ্ছে করে/মনে হয় এখনই গিয়ে দেখা করি - যদি জানা আছে তাতে সিদ্ধান্ত বদলাবে না।
২. নিজে থেকেই নিজের দোষ/ত্রুটি বের করে ব্রেকআপের পিছনে নিজের দোষগুলো খুঁজে বের করা - যদিও হয়তো আদতে নিজের কোন দোষই নেই।
৩. ওর রেখে যাওয়া স্মৃতি চিহ্নগুলো হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখা... মন আরও খারাপ করা। কেউ কেউ অবশ্য এগুলো নষ্ট করে ফেলে।

কমন ডায়ালগ:
১. "আমার তো কোন দোষ ছিলো না... তাহলে কেন....?
২. "সব মেয়ে এক..." (এটা একটা বিশেষ টাইপের ছেলেরা বলে)
৩. "আমি আর কখনও রিলেশন করতে পারবো না..."

অত্যন্ত ইমোশনাল এ পর্যায়টাকে ঠিক শব্দে প্রকাশ সম্ভব নয়। যতো কম বলে শেষ করা যায় ততোই ভালো। তাই পরের পর্যায়ে চলে যাচ্ছি।

২য় পর্যায়, সান্ত্বনা:
আপনার ফ্রেন্ডকূল এবং পরিচিতরা যারা আপনার রিলেশনের ব্যাপারে জানতো তারা এ পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনাকে সান্ত্বনা দিতে। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, মনে মনে আপনার বেশির ভাগ বন্ধুই (স্পেশালি যাদের রিলেশন আছে) কিন্তুই খুশি। খুশি এ জন্য যে - "যে এটলিস্ট তারা আপনার মতো এতো দুর্ভাগা না..."। এটা মানুষের আদি ধর্ম। অপরের বিপদের কথা চিন্তা করলে সচেতন বা অবচেতনভাবে আমাদের মন আনন্দ পায়।

"জাস্ট ঐ কষ্টকর পরিস্থিতিতে সে নেই" - এই চিন্তাটাই মনে আনন্দের খোরাক জোগানোর জন্য যথেষ্ট। এটা খারাপ কিছু নয়। এটা মানুষের ধর্ম। ইনফ্যাক্ট এটার কিছু ভালো দিক আছে। যেমন ধরুন, যেদিন আপনার ব্রেকআপের কথা আপনার ফ্রেন্ডরা শুনলো, পরের বার তাদের গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের সাথে আলোচনায় এ প্রসঙ্গটা একবার হলেও অন্ততঃ উঠবে। তখন তারা একে অপরকে প্রমিস করবে - তারা কখনও এভাবে বিচ্ছেদ ঘটাবে না। রিলেশন যে পর্যায়েই থাকুক না কেন - তারা আবারও নতুন করে অনুধাবন করবে, একে অপরকে পেয়ে তারা কতোটা লাকি। নিজেদের রিলেশনের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত ছিলো, এমন কাপলদের নিজেদের সমস্যা আর কিছু বলে মনেই হবে না। প্রিয় বন্ধুর ব্রেকআপের পর এ সময়টায় গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড হঠাৎ করেই একটু বেশিই সুইট হয়ে যেতে পারে - তবে এটা টেম্পোরারি। এর কোন স্থায়ী প্রভাব নেই।

যাই হোক এ পর্যায়ে ফ্রেন্ডকূল ও পরিচিতদের সান্ত্বনা আর উপদেশ বাণীতে সিক্ত হবেন আপনি -

১. "যা হয়েছে ভালো জন্য হয়েছে..." (হ তোরে কইসে!)
২. "জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না..."
৩. "এটা ক্যারিয়ার গড়ার সময়..." (নরমালি এটা বন্ধুরা না, স্বজনেরা বলে)
৪. "নিশ্চয়ই তোমার কপালে জন্য এর চাইতেও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে..."
৫. "থাক দোস্ত... বাদ দে..."
৬. "ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাটাও..."
৭. "ব্যাপার না... সব ঠিক হয়ে যাবে..."
৮. "চল বাইরে চল..."

আপনার রিলেশন সম্পর্কে আপনার ফ্রেন্ডদের আগে না বলা কিছু তথ্যও উঠে আসতে পারে এ পর্যায়ে -

১. "এমনিতেও এই রিলেশন নিয়ে তোর পরে সমস্যা হইতো..."
২. "ওর চাইতে হাজার গুণ বেটার মেয়ে তুই পাবি..." (৫ মাস আগেও "তোদের দেখে ঈর্ষা হয় বলার পর")
৩. "এমনিতেও ওর অনেক সমস্যা ছিলো..."
৪. "আমার কেন জানি আগে থেকেই মনে হচ্ছিলো রিলেশনটা টিকবে না..."

৩য় পর্যায়, নিজেরে বুঝাই:
ব্রেক আপের এই পর্যায়টা একান্তই নিজের। নিজের জীবন, ক্যারিয়ার সব কিছুই নতুন করে শুরু করার একটা প্রত্যয় এই স্টেজে জন্মায়। এ পর্যায়ে একটা ছেলে এমন অনেক কিছুই করবে, যা সে সাধারণ অবস্থায় কখনোই করতো না। এমন অনেক কাজ সে করবে যা এইতো ক'দিন আগেও তার কাছে ছ্যাবলামি মনে হতো। এমন অনেক মানুষ যাদের সাথে দীর্ঘদিন কোন যোগাযোগ ছিলো না/ বা অনেকটা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়তে পারে। পুরো ব্যাপারটাই আসে জীবনে সামগ্রিক পরিবর্তনের একটা চিন্তা থেকে।

৪র্থ পর্যায়, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো:
এ পর্যায়ে সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। বাসার বিভিন্ন কাজে এবং ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে অন্তরঙ্গতা বাড়ে। পুরো দুনিয়া কেমন একটা ‌'মায়ার চশমা' দিয়ে ফিল্টার হয়ে চোখে এসে ধরা দেয়। মানুষের উপকার করতে ইচ্ছে করে। মানুষের সাথে একটু বেশিই নরমভাবে কথা বলার প্রবণতাও দেখা যায়।

উপসর্গ:

১. বন্ধুবান্ধবদের সাথে বের হয়ে তাদের বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডেদের মধ্যে রিলেশনের অন্তরঙ্গতা দেখে খুব প্রচন্ড ঈর্ষা ও অস্বস্তি।
২. কথায় কথায় বন্ধুদের কাছে - "ইশ ও এইটা করতো...", "আই উইশ ও এইটা দেখতো..." বা "আমি আর ও প্রায়ই এটা করতাম..." - টাইপের কতাবার্তা।
৩. সুযোগ পেলেই মানুষকে নিজের ব্রেকআপের কথা জানানো, সহানুভূতির আশায় নয় - এটার মধ্যে কোথায় যেন ক্রেডিট নেয়ার মতো বিষয় আছে।
৪. "জীবনে অনেক কিছু দেখে ফেলেছি..." টাইপের মানসিকতা।
৫. ফেইসবুকে নিজের জীবনদর্শন তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়া। কারো কারো স্ট্যাটাস দেখলে মনে হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে।
৬. দাড়ি রাখা।

৫ম পর্যায়, আমি যেন কার আশায আশায় থাকি:
এতোদিনে আপনার ব্রেকআপের ঠিক পরপর টাটকা ক্ষত অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। তবে পরিচিত যায়গা, পরিচিত মানুষ দেখলে বুক ফাঁকা ফাঁকা লাগে। পরিচিত জায়গা দিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় আগের কথা মনে পড়ে। সাথে একটা ভয় কাজ করে যদি দেখা হয়ে যায় - তাহলে কি হবে? আবার মনে মনে ঠিকও করে ফেলেন দেখা হলে কি করবেন। যদিও ভয় পাচ্ছেন দেখা হওয়ার বিষয়টা চিন্তা করে, আবার কাইন্ড অফ যেন চাচ্ছেনও দেখা হোক।

৬ষ্ঠ পর্যায়, নতুন করে আবারও
ব্রেকআপের স্মৃতি মনে আর অবশিষ্ট নেই তেমন একটা -শুধু খুব অকেশনালি মনে পড়ে। মনে মনে আপনি ঠিক করে ফেলেছেন ওর সাথে সামনে কখনও দেখা হলে (তা নতুন বয়ফ্রেন্ড সহই হোক না কেন) আপনি ওকে ওর নতুন লাইফের জন্য কনগ্র্যাচুলেট করবেন - যেন এতোটুকু মানসিক শক্তি আপনি অর্জন করেছেন।

আপনার মধ্যে মেয়ে দেখলেই আগ্রহ জন্মাচ্ছে। বন্ধুকূলকেও জানিয়ে দিয়েছেন আপনি রেডি - হয়তো খুঁজতেও বলে দিয়েছেন।

উপসর্গ:

১. অনলাইনে/ফেইসবুকে বা ফ্রেন্ডের মাধ্যমে নতুন মেয়েদের সাথে পরিচয় হওয়া মাত্র তাৎক্ষণিকভাবে রিলেশনের জন্য মনস্থির করা। (যদিও আপনি নিজেও জানেন ৯৯% চান্স যে সেটা কাজে আসবে না)
২. ডার্টি জোকস/গালি প্রিয়তা - যদিও আপনি এসবের জন্য মোটেও বিখ্যাত নন।
৩. নিজের মধ্যে সাময়িক লুইচ্চামি গ্রো করা।
৪. হঠাৎ করে আপনার মনে হচ্ছে রিলেশনে থাকা অবস্থায় জগৎটা অনেক সহজ ছিলো, সবকিছু খুব নিশ্চিৎ ছিলো - হাত বাড়ালেই আরেকটা হাতের ছোঁয়া, চাইলেই একটা কাঁধে মাথা রাখা। কিন্তু এখন রিলেশন ভেঙে যাওয়াতে জগৎটাকে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে। আবারও নতুন করে রিলেশন, আবারও নতুন করে শুরু আদৌ হবে কিনা - ধারণাটাকে অলরেডি আপনি প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেছেন। ঠিক প্রথম রিলেশনটার আগে যেমনটা মনে হয়েছিলো আপনার।

......................................................................................................

* লেখক দাবি করেন না এই পোস্টের সবকিছু সবার ক্ষেত্রে খাটবে বা 'খাটবেই'। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে কিছু কিছু অবশ্যই খাটবে। * ঘটনার যে ধারবাহিকতা পোস্টে বজায় রাখা হয়েছে সেটি কোন স্বতঃসিদ্ধ ধারা নয়। এই পোস্টে এককটি ঘটনা একেকজনের জীবনে একেক ক্রমে আসতে পারে। * লেখক বিশ্বাস করেন এই পোস্টের অনেক কিছুই একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবনে কখনোই ঘটবে না। * কেউ যদি এই লেখাকে ব্রেকআপ বিষয়ে লেখকের নিজস্ব বক্তব্য হিসেবে অভিহিত করতে চান তাতে লেখকের কোনই সমস্যা নেই। *

রিলেশনের ঝগড়া


উৎস: রিলেশনের ৯০% ঝগড়ার উপাদান চার ধরণের, যা ৪ ‘ফ’ নামেও পরিচিতি:

১. ফ্রেন্ডস (মিউচুয়াল ফ্রেন্ডরা বেশি)
২. ফ্যামিলি (প্রধানতঃ কাজিনরা)
৩. ফোন
৪. ফেইসবুক

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অধিকাংশ ঝগড়ায় এগুলোর অন্ততঃ একটি বা একাধিকের অবদান থাকে। আবার চলমান ঝগড়ার 'নিয়ামক' বা 'প্রভাবক' হিসেবেও কাজ করে এগুলো।

মাধ্যম: ঝগড়ার মাধ্যমগুলো চিহ্নিত করতে গেলেও মোট ৩টি 'ফ' -পাওয়া যাবে:

১. ফোন
২. ফেইসবুক
৩. ফেইস-টু-ফেইস (সামনাসামনি)

ঝগড়ার শুরুটা: ঝগড়ার শুরুটা সাধারণতঃ কোন একটা কটুক্তি/খোঁচা মারা কথা বা অভিমান বা জেরাযুক্ত প্রশ্ন থেকে। আবার দীর্ঘ নীরবতা বা দীর্ঘশ্বাস থেকেও জন্ম নিতে পারে ঝগড়া। কাপলের মানসিকতা, রাগের পরিমাণ ও মূল বিষয়ের গুরুত্বভেদে ঝগড়াটা শুরু হতে পারে একবারে বা দফায় দফায়। কিছু লক্ষ্যনীয় বিষয়:

● কয়েক দফা ফোনালাপে ঝগড়ার শুরু হতে পারে। দু'জনেই নিজেদের পয়েন্টগুলো মুখের ওপর বলে দিতে চায়। দফায় দফায় লাইনও কাটা হয়।
● ঝগড়া শুরুর পরপরই অনেকে নিজের বা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের ফ্রেন্ড (বিশেষতঃ মিউচুয়াল ফ্রেন্ডদের) বা কাজিন-টাজিনদের ঝগড়ার কথা জানায়। অনেকে আবার না জানালেও মন-টন খারাপ করে তাদের ফোন দেয়।
● অনেককে দেখা যায় নিজেদের কথা সরাসরি অপরজনকে না বলে ভায়া (বন্ধু/কাজিন প্রভৃতি) বলানোর। এতে করে সরাসরি তোপ থেকে মুক্তি মিললেও প্রায়ই কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে আরো বড় ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
● অনেক ঝগড়াই একদম এই প্রথম স্টেজেই মিলে যায়। এটার বেশ ক'টি কারণ আছে: 'পরস্পরের প্রতি টান' বা 'এই ঝগড়ার চাইতেও বড় কোন সমস্যা জীবনে আসা...' ইত্যাদি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারণটা ক্লান্তি, বিরক্তি, 'কি দরকার, ভালোই তো ছিলাম...' বা স্যাক্রিফাইজিং মনোভাব।

প্রকারভেদ:

১. "“তুমি এটা বললা কেন?" -ঝগড়া: রিলেশনের ঝগড়ার মোস্ট টিপিক্যাল ফর্ম এই ধরণের ঝগড়া। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের বলা কোন কথা গায়ে বিপরীতজনের গায়ে লাগা থেকে এমন ঝগড়ার সূত্রপাত। তবে এ ধরণের ঝগড়া বেশিদিন টিকে না।
সূত্রপাত: ফেইস-টু-ফেইস, ফোন, ফেইসবুক

কমন ডায়লগ:
● "তাই বলে এভাবে বলবা?"
● "এটা দিয়ে কি mean করলা?"
● "ও... তোমাকে বললে তোমার মনে হয়... কিন্তু আমার কিছু মনে হতে পারবে না??"
● "আজব!!!"

২. "তুমি আর তোমার স্টুপিড ফ্রেন্ডরা..." - ঝগড়া: ফ্রেন্ডদের বলা কোন কথা বা কোন বেকুবী এ ধরণের ঝগড়ার জন্ম দেয়। তবে বাস্তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঝগড়ার উৎস বয়ফ্রেন্ডের বন্ধুরা। বন্ধুদের বেশি সময় দেয়া নিয়েও হতে পারে ঝগড়া।

কমন ডায়লগ:
● "থাকো তুমি তোমার ফ্রেন্ডদের নিয়ে!"

৩. ফেইসবুকে ঝগড়া: ওরে বাপরে! ভয়ংকর ধরণের ঝগড়া এটা। মানুষ যে ফেইসবুককে ২য় জীবন বানিয়ে ফেলেছে তারই প্রভাব এটা। এ ধরণের ঝগড়া অনেক কারণে লাগতে পারে:

● অপরিচিত/বাস্তবে পরিচিত কিন্তু অপছন্দ ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট (এবং/অথবা Accept করা)
● ছবি বা স্ট্যাটাসে উল্টোপাল্টা কমেন্ট
● লাগাতার কমেন্ট ও লাইক আদান-প্রদান
● চ্যাটে দেরি করে জবাব দেয়া
● ফেইসবুকে এক্সের পুনরাবর্তন ("আমাদের মধ্যে কিছু নাই, জাস্ট ফ্রেন্ড" - দাবি করে)

কমন ডায়লগ:
● "আমি বলছি তাই ব্লক করবা.... আর কোন কারণ তো দরকার নাই?"
● "তোমার ফ্রেন্ডদের নিয়েতো আমার কোন সমস্যা নাই...!!"
● "ফেইসবুকে কে আমার ফ্রেন্ড হবে না হবে সেটা কি তুমি ঠিক করবা?"

কমন প্রতিক্রিয়া:
● ফেইসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট/ডিলেট।
● বিবাদমান ফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে রিম্যুভ।
● "আগামী কয়েক মাস ফেইসবুকে আসা হবে না...." টাইপের স্ট্যাটাস দিয়ে ৯ দিনের মাথায় কামব্যাক!

৪. "ওই মেয়ের সাথে তোমার এতো কি?" -ঝগড়া: বুঝতেই পারছেন এই ঝগড়ায় মূল ভূমিকা গার্লফ্রেন্ডের। বয়ফ্রেন্ডের অন্য কোন মেয়ের সাথ অন্তরঙ্গতা/হেসে হেসে কথা বলা/সঙ্গ দান থেকে এ ধরণের ঝগড়ার সূত্রপাত। অনেক সময় ছেলের উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও ঝগড়া বেঁধেই যায়।

কমন ডায়লগ:
● "আমি বললে তো কখনো করো না..."
● "OK যাও! ঐ মেয়ের কাছে যাও... আমাকে তো আর তোমার দরকার নাই..." (কৃত্তিম অভিমানের সুরে)
● "আমাকে তো আর এখন তোমার ভালো লাগে না.... আমিতো পুরান হয়ে গেছি..." (ডায়লগটি অত্যন্ত ক্ষ্যত এবং বললেও সাধারণত কৃত্তিম অভিমানের সুরেই বলা হয়ে থাকে)

৫. ইগনোরেন্স/অবহেলা ঝগড়া: গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের প্রতি কোন অবহেলা বা Ignorance থেকে এ ঝগড়ার শুরুটা। স্বভাবগতভাবেই অ্যাটেনশন সিকিং হলেও মানুষ রিলেশনে এসে আরো বেশি মাত্রায় অ্যাটেনশন চায়। আর তার মধ্যে যদি কোন পক্ষের গাফিলতি হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই... মূহুর্তেই বেঁধে যায় তুমুল ঝগড়া। রিলেশনে ছেলেদের মধ্যে কেয়ারলেস ভাবটা বেশি দেখা যায়। আর তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরণের ঝগড়ার রাগটা জমতে দেখা যায় গার্লফ্রেন্ডের মনে।

কমন ডায়লগ:
● "একবারো খোঁজ নিসো...বলো?"
● "আধাঘন্টা ধরে আমি দাঁড়ানো..."
● "এমনিতেই দেখা হয় সপ্তাহে একবার.... তারপর ডেটে এসেও মোবাইলটা টেপাই লাগবে?"
● "৪টা পর্যন্ত জেগে ছিলাম... তারপর আর পারি নাই।"

৬. সন্দেহভাজন ঝগড়া: অন্য কারো সাথে বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড্রের রিলেশন চলছে - এমন সন্দেহের থেকে বা নিশ্চিত হয়েই এ ধরণের ঝগড়া শুরু হয়। এ ধরণের ঝগড়াই সবচেয়ে বেশি ব্রেকআপে রূপ নিতে দেখা যায়। মজার ব্যাপার মেয়েরা যেভাবে ছেলেদের সরাসরি জিজ্ঞেস করে ফেলে তাদের সন্দেহের ব্যাপার। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছেলেরা সেটা করে না। উল্টো তাঁরা খোঁচায়। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তথ্য বের করে করে মূল পয়েন্টে নিয়ে আসে।

কমন ডায়লগ:
● "১ ঘন্টা ধরে ওয়েটিংয়ে, কার সাথে এতো কথা?"
● "মেয়েটা কে?"
● "আগেতো এমন ছিলা না..."
● "তুমি গেসো কি না বলো? হ্যাঁ... বা... না!"
● " আমি যা বোঝার বুঝে গেসি..."
● "আর কিছু কি বলা বাকি আছে?"

৭. 'সময় দিতে না পারার' -ঝগড়া: ব্যস্ততার কারণে রিলেশনে প্রয়োজনীয় সঙ্গ বা সময় না দিতে পারা থেকে এমন ঝগড়ার সূত্রপাত।

কমন ডায়লগ:
● "কাজ আমার থাকে না? ব্যস্ত কি শুধু তুমি একাই থাকো?"
● "তুমি আমাকে ব্যস্ততার কথা শুনাচ্ছো?"
● "ফোন না হোক - একটা মিসকল বা ম্যাসেজতো তো অ্যাটলিস্ট দিতে পারতা..."

৮. সিলি ঝগড়া: নিজেদের খুবই ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র বিষয় ধরাধরি নিয়ে এমন ঝগড়া হয়। ঝগড়ার টপিক যে কোন বিষয় হতে পারে, তবে খুব সহজেই এড়ানো যেতো এমনটাই সিলি হবে। যেমন:

● অমুক নায়িকা/মডেলকে Hot লাগে।
● ফোন কাটলা কেন?
● এইটা কি স্ট্যাটাস দিসো?
● "অমুক ফ্রেন্ডকে ডাকলা কেন?"
.....ইত্যাদি.....

৯. সিরিয়াস ঝগড়া: সিরিয়াস ঝগড়ার রূপ নয়, বিষয়াদি সিরিয়াস। ঝগড়ার মূল আলোচনা এমন বিষয় নিয়ে হয় যেটা রিলেশনের একদম মূলস্তম্ভের সঙ্গে জড়িয়ে আছে (বিশ্বাস, ভালোবাসা, বিয়ে, তৃতীয় কেউ ইত্যাদি)। সিরিয়াস ঝগড়া না মিটলে রিলেশন ভেঙে যাওয়া প্রায় অবধারিত এবং এ ধরণের ঝগড়ায় ভাঙা রিলেশন ফের জোড়া লাগে কম যদি না মনোবল ও টানটা প্রবল হয়।

ঝগড়ার মাঝে: ঝগড়ার মাঝখানটা বৃষ্টি আসবে আসবে ভাব আকাশের মতো -

● এ সময়টায় অনেকেই ওয়েটিং গেইম খেলে। অন্যপক্ষ থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত নিজেও কিছু বলে না।
● কেউ কেউ "তোমাকে ছাড়াও আমার দিব্যি চলে যাচ্ছে..." - ধরনের মানসিকতা দেখান।
● নিজের দোষ নেই জেনেও রাগে ও অভিমানে "আচ্ছা যাও সব দোষ আমার..." এমনটাও বলতে দেখা যায় কাউকে কাউকে।
● ঝগড়ায় গোঁ ধরে বসে থাকলেও অনেকেই কোন-না-কোন ভাবে চুপি চুপি প্রিয়জন কেমন আছে, কি করছেন এমনটা জেনে নিতে নিতে ভুলেন না।
● যুক্তিনির্ভর কাপলদের ঝগড়ার এ পর্যায়টা খুব দীর্ঘ হয়। অনেকই আবার অধৈর্য্য হয়ে যান, রাগটা আর ধরে রাখতে পারেন না। কারো কারো ঝগড়ায় মেটানোর মানসিকতা থাকলেও শুধু যুক্তিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে আগ বাড়িয়ে ফোনটা আর দেন না। উল্টো কলটার অপেক্ষায় থাকেন।

ঝগড়ার শেষ: ঝগড়ার শেষটা খুব অদ্ভূত -

● পুরোটা ঝগড়ার সময় দু'জনের কেউই হয়তো নিজেদের কোন দোষ আছে বলে মানতে রাজি ছিলো না। অথচ ঝগড়া শেষ হবার পর এখন আর যেন নিজের দোষ খুঁজে পেতে সমস্যা হয় না।
● ঝগড়া শেষে অনেক কাপলই রিলেশনের নতুন অর্থ খুঁজে পান। একসাথে থেকে তারা কতোটা সুখী তার শোকর আদায় করেন।
● ঝগড়ার পর বেশ ক'দিন পর্যন্ত দু'জনের আচার-ব্যবহারেই একটা বেশ 'পজিটিভ অ্যাফেক্ট' থাকে (সারাক্ষণই ঝগড়ার উপরে থাকে এই টাইপ বাদে)। অনেক বেশি সহনশীল, হেসে হেসে বলা, "কোন ব্যাপারই না..." টাইপের আচরণ দেখা যায়। কিন্তু সমস্যা কিন্তু আবার ঠিকই হয়।
● সব ঝগড়ার শেষটা মধুর হয় না। রিলেশন শেষ হয়ে যায় বা হওয়ার অপেক্ষা থাকে।

কমন ডায়লগ:
● "ভুল আমারো ছিলো..."
● "আমরা দু'জনেই বাচ্চাদের মতো করেছি..."
● "তোমার সমস্যা হলো তুমি বলোনা... এরপর থেকে এমন কোন সমস্যা হলে আগে আমাকে বলবা..."

উল্লেখ্য: ঝগড়া মেটাতে ফ্রেন্ডদের কার্যকারিতা বেশি, এক্ষেত্রে সচরাচর কাজিনদের পারফরমেন্স খুবই খারাপ।

(এটা অত্যন্ত নির্লজ্জ একটি প্রচেষ্টা জ্ঞান জাহির করার। ইনফ্যাক্ট এই পোস্টের অবজারভেশন বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি ভিন্ন হতে পারে। লেখক দাবি করেন না এই পোস্টে বলা সব কথা বাস্তবে একদম ঠিক ঠিক মিলে যাবে, তবে কারো কারো এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মিললেও মিলতে পারে।)

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১১

লবঙ্গ এর গুনাগুন


লবঙ্গ সাধারণত রান্নার সময় অনেকে ফোড়নে ব্যবহার করেন। গরম মসলার মধ্যেও লবঙ্গ থাকে। তা রান্নার স্বাদ বাড়ায়। এছাড়া লবঙ্গের আরও বিশেষ কিছু গুণ আছে, যা আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ ফলদায়ী। চলুন সেগুলো জেনে নিই।

— লবঙ্গ কফ-কাশি দূর করে।

— পানির পিপাসা পেলে বা বুকে অস্বস্তি হলে লবঙ্গ খাওয়া দরকার। তাতে পিপাসা মেটে। শরীরে ফুর্তি নিয়ে আসে।

— হজমে লবঙ্গ সহায়তা করে।

— খিদে বাড়ায়।

— পেটের কৃমি নাশ করে দেয়।

— লবঙ্গ পিষে মিশ্রি বা মধুর সঙ্গে খাওয়া ভীষণ ভালো। এতে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়।

— এটা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে। হাঁপানির মাত্রা কম করে।

— চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লবঙ্গ পিষে লাগালে ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর হয়ে যায়।

— দাঁতের ক্ষেত্রে লবঙ্গ ভীষণ ভালো ওষুধ। দাঁতে ব্যথা হলে লবঙ্গ মুখে রাখুন কমে যাবে।

— মুখে দুর্গন্ধ দূর করে লবঙ্গ।

ভেষজ টিপস


সেই আদিকাল থেকেই মানুষ রোজকার দিনে ভেষজ উপায়ে নানারকম সমস্যার সমাধাণ করে এসেছে। এবং অনেকাংশেই সেটি ডাক্তারের দেওয়া অষুধের চেয়ে অনেকাংশে কাজ করে।আমাদের রোজকার দিনেই একটু সহজ করতে কিছু টিপস! যা কাজে লাগবে অনেক।

১। প্রতিদিন একটি পাকা টমেটো খেলে শরীরের রক্ত কনিকা বাড়ে, ফলে ত্বক পরিস্কার হয়।

২। ছোট এলাচ, খেজুর ও আঙ্গুর একসঙ্গে পিষে মধু মিশিয়ে খেলে হাপানির কষ্ট কমে।

৩। কাচা হলুদ গরম করে গন্ধ শুকলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।

৪। জিভে ঘা হলে, পানির সাথে কর্পূর গুলে জিভ কয়েকদিন ধুলে জিভের ঘা ভাল হয়।

৫। ডায়াবেটিস কমাতে কাচা ঢেড়স পানিতে ভিজিয়ে এর আঠালো পানি সকালে খান।

৬। গায়ে খোস-পাচড়ার দাগ হলে, সেই জাযগায় মাখন প্রতিদিন মালিশ করুন।

৭। গোল-মরিচ মিহি করে বেটে নিয়ে প্রতিদিন মধু মিশিয়ে খেলে শ্বাস-কষ্টে ভাল হয়।

৮। স্মরণশক্তি বাড়াতে ২/৩ চা-চামচ থানকুনি পাতার রস, আধাকাপ দুধ ও সামান্য মধু খান। ভরা

পেটে খেতে হবে এবং বয়স অনুযায়ী মাত্রা কম-বেশী করতে হবে।

৯। কৃমি হলে পুদিনা পাতা বেটে এর সাথে মধু-লবণ মিশিয়ে খান।

১০। ঠান্ডা, অতিরিক্ত গরমে বা এলার্জি জনিত কারণে গলা বসে গেলে ১ গ্রাম কাবাব চিনি গুড়া করে

১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে চাটনির মত দিনে কয়েকবার চুষে খান।

তারুণ্য ধরে রাখার তরিকাবলী


অনন্যার দাদু। এখনো রোজ সকাল হলেই দেখা যায় বেশ তাগড়া ভাবে পার্কে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। সবসময় ফুরফুরে ভাব।এভারগ্রীন বলতে যা বোঝায়। অনন্যাদএর নিউ ইয়ার পার্টিই হোক কি রবীন্দ্রজয়ন্তি।দাদুকে বাদ দেবার জো নেই।সবদিক দিয়ে ফিটফাট।যাকে বলে এভারগ্রীন।”এভারগ্রীন” বহুল প্রচলিত একটি কথা।তা এভারগ্রীন থাকার সহজ কিছু তরিকা-

এক:নিয়মানুবর্তিতা ও শৃংখলা। তরুণ বয়স থেকেই এই শৃংখলার চর্চা করতে হবে এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। কোন ভোবেই নিজের ওপর অত্যাচার করা যাবেনা। পাশাপাশি ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার পরিহার করতে হবে। বিনা প্রয়োজনে কোন ধরণের অপচিকিত্সা নেয়া যাবেনা।

দুই: যথাসম্ভব চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে অথবা চর্বি জাতীয় খাবার কম আহার করতে হবে। পাশাপাশি সুষম খাবার যেমন, প্রচুর শাক-সবজি, প্রয়োজন মত মাছ-মাংস, ডিম ও প্রচুর ফল খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি কোন ধরণের ফাস্টফুড, তেলেভাজা খাবার ও সফট ড্রিংস খাওয়া চলবেনা।

তিন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন নাহলেও অন্তত: সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম যেমন, হাটা চলা, জগিং করা, সুইমিং করতে হবে। মনে রাখতে হবে ব্যায়াম শরীরের রক্তচলাচলে স্বাভাবিক রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থ সবলতার জন্য রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন হয়।

চার: মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানসিক চাপ, হতাশা থেকে শারীরিক সামর্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিক চাপ কমানোর জন্য ওষুধ নির্ভরতা কমিয়ে যে কারণে মানসিক চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা নিরসনে সচেষ্ট হতে হবে। নিজের যা আছে তাই নিয়েই সুখী থাকতে চেষ্টা করুন। বিবাহিত হলে দাম্পত্য জীবন আনন্দময় করা চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তবে কখনও শরীরের শক্তি বাড়াতে উত্তেজক ওষুধ খাবেন না।

পাঁচ: ত্বক সুন্দর রাখার চেষ্টা করুন। কারণ সর্ব প্রথম বয়সের ছাপ কিন্তু ত্বকে পড়ে। তাই ত্বক সুন্দর ও মসৃণ রাখতে ত্বকের পরিচর্যা করুন। প্রতিদিন মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখতে যেকোন ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং রোদে যাবার আগে যেকোন হালকা সানব্লক ব্যবহার করুন। ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর সবজি ফল ও পানি পান করুন।

ছয়: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে চেষ্টা করুন এবং প্রত্যুেষে ঘুম থেকে উঠে যার যার ধর্মমতে প্রার্থনা করুন। ইয়োগা, মেডিটেশনও করতে পারেন। এবং অন্যের কোন অনিষ্ট যাতে আপনার কর্ম-আচার-আচরণে না ঘটে তার প্রতি সতর্ক থাবেন। পরিবারের সদস্যদেরও সেই নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষায় উজ্জীবীত করুন

সাত: ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে চিকিত্সা করুন এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। লবণ কম খান।

আট: ধূমপান একেবারেই পরিহার করুন। ধূমপান শারীরিক সামর্থ নষ্ট করে, ত্বক ও মনের তারুণ্য কমিয়ে দেয় এবং হূদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করে। তাই ধূমপান একেবারেই নয়। পাশাপাশি মদ্যপান পরিহার রকুন।

নয়: সব সময় পজিটিভ চিন্তা করুন এবং যে কোন সমস্যা মনের জোর দিয়ে জয় করার চেষ্টা করুন। এমনকি দাম্পত্য সমস্যাও মানসিক শক্তি দিয়ে জয় জরা যায়। ওষুধের প্রয়োজন নেই।

দশ: নিজের অনেক কঠিন সমস্যা নিজের মধ্যে না রেখে আপনজন বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। প্রয়োজনে উপযুক্ত কাউন্সিলিং এর জন্য সংশ্লিষ্ট কোন চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

এক মধুর কত গুণ !!


প্রকৃতি থেকে পাওয়া খাদ্যগুলোর মধ্যে মধুই কি সবচেয়ে বেশি মিষ্টি? যাই হোক, মধুর গুনাগুণ এর স্বাদের চেয়েও বেশি মধুর। এটি ভিটামিন, মিনারেল ও অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ অনন্য একটি খাবার।দারুচিনি গুড়ো করে তার সাথে মধু মিশিয়ে নিন। হাড়ের ব্যাথা, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের সমস্যায় প্রতিদিন এই পেস্ট এক টেবিল চামচ করে খান। ব্রণের সমস্যায় এই পেস্ট সরাসরি ব্রণেও লাগাতে পারেন।

@ঠান্ডা ও কাশির সমস্যায় এক চা চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

@স্থূলতা কমাতে চায়ে দুধ চিনির পরিবর্তে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন।

@প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক কাপ গরম দুধের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খান। ভালো ঘুম হবে।

@মধু ও দুধ গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে লাগালে ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল হয়।

@শরীরে ক্যালোরি ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে চিনি পরিবর্তে মধু ব্যাবহার করুন।

@ঠোঁট ও শরীরের অন্যান্য অংশের শুষ্কভাব কাটাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগান।

@যেকোন ধরনে ক্ষতে প্রাথমিকভাবে মধু ব্যাবহার করতে পারেন। এটি এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।

মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১১

মস্তিষ্ক উন্নয়নে কিছু মজার টিপস……..


সালাম ও শুবেচ্ছা জানিয়ে শুরুকরছি একটি মজার টিউন যেটি আপনাদের প্রত্যেকের অবশ্যই কাজে লাগবে……কারণ সবাই চাই তার মস্তিষ্ক যেন সব সময় ঠিক থাকে বিকৃত না হয়….সুতারাং আমার মতে সবার উপকারে আসবে এই টিউনটি পড়লে …

আমাদের প্রত্যেকেই চায় যে আমাদের ব্রেইন যেন সব সময় সুস্থ থাকে সেই জন্য আমাদের সব চেয়ে যেটি প্রয়োজনীয় দেখার জিনিস সেটি হল আমাদের খাবার প্রণালী কারণ এটার উপর নির্ভর করে আমাদের ব্রেইনের সুস্থতা এবং উন্নতি ….নিন্মে দেয়া হল …

মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের মতে, কোলিনসমৃদ্ধ খাদ্য খেলে মেধাশক্তি বাড়ে। প্রতিদিন মস্তিষ্কের জন্য ৪০০-৯০০ মিলিগ্রাম কোলিন প্রয়োজন। একটি হাঁস বা মুরগির ডিমে ৪০০ মিলিগ্রাম, ছোট দু’টুকরা মাছ থেকে ১০০ মি. গ্রা. ৪-৫টি যকৃতের টুকরায় ৬০০ মি. গ্রা. কোলিন থাকে। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, সয়াবিন, দুধ, বাদাম ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর কোলিন থাকে। বিশেষ করে সয়াবিন নিয়মিত খেলে শেখার, বুঝার ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধ বয়সে ভিটামিন ‘বি’-এর অভাব হলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে ডাল, শস্যদানা, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, চাল, গম, কলা, গাজর, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাদ্যে। ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে মস্তিষ্কের বাস্তবের সাথে বুঝার ক্ষমতা অনেকাংশে লোপ পায়। ভিটামিন সি বেশি থাকে আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, আম, লেবু, বাতাবি লেবু, জলপাই ইত্যাদিতে। মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে আয়রনের প্রয়োজন। মস্তিষ্কের মধ্যে সবসময় শরীরে রক্তের প্রায় ২০ ভাগ রক্ত চলাচল করে। রক্ত শোধনের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। রক্তের লাল রঙের উপাদান হিমোগ্লোবিন হলো অক্সিজেনের বাহক। আয়রন হচ্ছে হিমোগ্লোবিনের প্রধান সৃষ্টিকারী।

মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে মনোযোগ ও নতুন কিছু বুঝা বা শেখার আগ্রহ কমে যায় এবং মনের চঞ্চল ভাবটাও নষ্ট হয়। কথাবার্তায় আদব-কায়দা হ্রাস পায়। আয়রন বেশি থাকে কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, কলা, নটেশাক, মূলাশাক, বরই, তরমুজ, বরবটি, গুড় ইত্যাদি খাদ্যে। এসব আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের সাথে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে সহজেই হজম হয়। বোরন ও জিংক স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপেল, আঙ্গুর, ডাব, টমেটো, গম, দুধ এসব খাদ্যে বোরন ও জিংক থাকে। ১০ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ালে স্মরণশক্তি বাড়ে। গর্ভবতী মহিলারা কোলিনসমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য খেলে গর্ভের শিশু মস্তিষ্ক গঠনের সময় স্মরণশক্তি ও বুদ্ধি বৃদ্ধির উপাদান সৃষ্টি হয়। বয়স্কদের জন্য মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তেল, চর্বি, ঘি জাতীয় খাদ্য স্মরণশক্তি হ্রাস করে। চর্বি জাতীয় খাদ্য উপাদান রক্তের সাথে মিশে গিয়ে মস্তিষ্কের অত্যন্ত সূক্ষ্মবাহী নালীগুলোর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত করে। খাবারে মিশ্রিত কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ মানুষের স্মরণশক্তিকে মুছে ফেলে। মস্তিষ্কের প্রোটিন তৈরির সময় অ্যালকোহল বাধা দেয়। ফলে নতুন স্নায়ুকোষ জন্মাবার সম্ভাবনা চিরদিনের জন্যই বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের ওষুধ স্মরণশক্তি হ্রাস করে।

***মস্তিস্ক সুস্থ রাখতে যা করনীয় তা হচ্ছেঃ
০ প্রতিদিন স্বাস্থ্য সম্মত সুষম খাবার খেতে হবে।

০ প্রতিদিন অন্ততঃ ৮ গ্লাস পানি পানসহ টি, কফি খেতে হবে অথবা রং চা তথা দূধ ছাড়া ।

০ মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং মাঝে মধ্যে মস্তিস্ককে অবসর দিতে হবে।

০ প্রতিদিন কোন ভালো ভিটামিন ও ব্রেইন সাপ্লিমেন্ট সেবন করা যেতে পারে।

০ প্রতিদিন মেসওয়াক করতে হবে জয়তুন গাছের ঢাল দিয়ে অথবা নিম গাছের ঢাল দিয়ে।

০সকালে নামাজের পর খোলা আকাশের নিচে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করা কারণ মনিষীরা বলে যে সকালের হাওয়াটা মানুষের জ্ঞানী হওয়ার এক অমূল্য সম্পদ।

০ আমাদের মুখ ও নাক সব সময় পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে আমরা আরেকটি কথা হয়ত অনেকে জানি যে আমাদের শরীরের বাতাস আদান প্রদানে ফিল্টার মেশিন হল আমাদের নাকের লোম গুলো কেননা আমরা সারাদিন যে নিস্বাশ টানি তাতে বাহ্যিক হাওয়া আমাদের শরীরে আদান প্রদান নাকের মাধ্যমে হয় এক্ষেত্রে নাকের লোম গুলো এবং নাকের ভিতরে একটি পর্দা থাকে যেটি বাতাস ফিল্টার করে সুস্ক বাতাস আমাদের শরীরের ভেতর প্রবেশ করাতে সাহায্য করে….

***মস্তিষ্ক উন্নয়নে যা যা খেতে হবেঃ

০খাঁটি মধু প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে খেতে হবে।

০ মিস্টি জিনিস তথা খেজুর, সাদা মিস্টি মাঝে মাঝে খেতে পারেন কারণ মেডিকেল সাইন্স বলে মিস্টি জিনিস ব্রেইন উন্নয়নে সাহায্য করে ।

০ রান্নাকৃত মসরের ডাল যাতে পানি বেশি থাকতে হবে অর্থাৎ ডালের পানি বেশি করে খেতে হবে।

০ পোড়া বাজা কম খেতে হবে এবং লাল মরিচ যুক্ত তরকারি কম খেতে হবে, এবং সবুজ শাক শবজি বেশি করে খেতে হবে।

এই নিয়ে পারলে পরে আরও কিছু টিউন লিখব………..সবাই ভাল থাকবেন এই কামনায় রইল……………

বিদ্রঃ কয়েকটি বই এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে তখ্য সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে….আসা করি কেউ এটাকে ভূল চোখে দেখবে না………..

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১১

মানব শরীরের কিছু মজার তথ্য

মানুষ হল সৃষ্টির সেরা জীব। কারন আল্লাহ তা’আলা মানুষকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যেইভাবে অন্য কোন জীবকে সৃষ্টি করেন নি। মানুষ যখনই তার নিজেকে নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা বা গবেষণা করে তখনই খুজে পায় মানব সৃষ্টির নতুন নতুন বিস্ময়কর অনেক তথ্য। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে কত না উত্তমরুপে সৃষ্টি করেছেন যা মানুষ ভাবতেই পারে না। যাই হোক এই পোষ্টটি থেকে আমরা জানবো মানবসম্বন্ধীয় মজার কিছু তথ্য।




১. একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫ কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।
২. দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
৩. রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
৪. দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
৫. একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।
৬. কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
৭. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
৮. একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।
৯. একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে।
১০. একজন মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট।
১১. একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
১২. মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব।
১৩. মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়। মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে। হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়।
১৪. একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্ত কণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে।
১৫. আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে।

ভালবাসার বিপদঃ ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম


বর্তমানে “হৃদয় জোড়া লাগা” ঘটনার প্রবল জোয়াড় চললেও “হৃদয় ভাঙা” ঘটনার স্বাভাবিক স্রোতটুকুও দেখা যায় না। এর কারণ হয়ত সত্যিকারের ভালবাসার ঘটনা আজকাল আর তেমন ঘটে না বলেই। তবে একদমই যে ঘটে না তাও না। আজও অনেকে সত্যিকারের ভালবাসার ফাঁদে পরেন এবং এর কারণে অনেকেরই হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, যার কারণে তারা ভুগতে শুরু করেন ভাঙা হৃদয় সিনড্রোম বা Broken heart syndrom থেকে ।

এরই মধ্যেই অনেকে নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন যে এটি প্রেমঘটিত (সাধারণত) এরং হৃদয়ঘটিত এক ধরণের Medical Condition যার সংজ্ঞা অনেকটা এরকম -

“Broken Heart Syndrome হল এমন এক ধরণের Medical Condition, যেখানে আকস্মিক মানসিকভাবে চরম আঘাত পাওয়ার কারণে হৃদপিন্ডের মাংসপেশী myocardium সাময়িকভাবে দূর্বল হয়ে পরে এরং এর কারণে শারিরীকভাবে বুকে ব্যাথা অনুভূত হয়।”

আরও ভাল করে বলা যায় -

“Broken Heart Syndrome is such an Medical Condition which is triggered by extreme and sudden emotional trauma and due to which there is a temporary weakening of the myocardium (the muscle of the heart).”

এবার একটু details এ আসা যাক।

পূর্বে ধারণা করা হত যারা Broken Heart Syndrome বা BHS এ ভুগে, তারা হয়ত বড় রকমের হার্ট এ্যটাকের (Heart Attack) স্বীকার হচ্ছে। কারণ BHS এমনই চালাক যে এটা ঠিক Heart Attack এর symptoms বা লক্ষণগুলোর মত লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে, যেমন – বুকে ব্যাথা হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসে স্বল্পতা, প্রবলভাবে ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন যে এটা কোন হার্ট এ্যটাকের নয়, হার্ট এ্যটাকের এর ভেলকি মাত্র। শুদ্ধ বাংলায় এটাকে হয়ত মজা করে আমরা ”হৃদয়ের লীলা খেলা” বলতে পারি ।

Broken Heart Syndrome (BHS) আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন – Takotsubo cardiomyopathy , Gebrochenes-Herz-Syndrom ইত্যাদি তবে stress cardiomyopathy নামটি বেশি প্রযোজ্য।

BHS প্রথম আবিষ্কার করেন জাপানী ডাক্তারেরা ১৯৯১ সালে। তারাই এটার নাম দিয়েছিলেন Takotsubo cardiomyopathy বা octopus trap cardiomyopathy । যদিও এখন পর্যন্ত এর সঠিক কারণটি জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয় আকস্মিক মানসিকভাবে চরম আঘাত পাওয়ার কারণে, শরীরের stress hormones-গুলোর (যেমন – adrenaline ) অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় এমনটি হয়। এখানে মানসিকভাবে আঘাত পাওয়া বলতে প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া, প্রিয় কাউকে হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি ঘটনায় মানসিকভাবে আঘাত পাওয়াকেই সাধারণত বুঝিয়ে থাকে। এছাড়া ভয়াবহ কোন দু:সংবাদ শুনেও এমন হতে পারে।

যাই হোক সুসংবাদ হল যে BHS নকল হার্ট এ্যটাকের মাত্র এবং এটা থেকে ১০০% ভাগ সুস্থ হওয়া সম্ভব ।

পরিশেষে এটাই বলব যে Broken Heart Syndrome এর ভয়ে ভালবাসা থেকে দূরে থাকা হবে চূড়ান্ত রকমের বোকামি কারণ -

“Life is the flower of which love is the honey. ”
–Jean Baptiste Alphonse Karr

পুনশ্চ: পুরুষদের তুলনায় নারীরা Broken Heart Syndrome -এ বেশি ভোগে ( নারীরা একটু বেশিই ইমোশোনাল কিনা! No offence! )।

ব্যায়ামের জানা-অজানা উপকারীতা

“বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম”। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ ভিন্ন একটি পোষ্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আমরা সবাই বলি ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা উপকারী। কিন্তু কতটুকু উপকারী, তা অনেকেই জানি না। নিয়মিত ব্যায়াম করলে নানা রকম দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওজন কমানো যায়, ভালো ঘুম হয় আর মানসিক প্রশান্তি আসে।


নিচে ব্যায়াম করার বেশ কিছু উপকারীতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলামঃ
ব্যায়াম মনকে চাঙ্গা করেঃ

ব্যায়াম করলে মস্তিস্ক থেকে নানা রকম রাসয়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান চিত্ত প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য ও ওজ্জ্বল্য বাড়ায়। যিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাকে বিষন্নতা কিংবা হতাশা সহজে হ্রাস করতে পারে না।
রোগ প্রতিরোধ করেঃ

আধুনিক জীবনে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমান কমে গিয়েছে, অর্থাৎ হাটাহাটির প্রয়োজন হয় না বললেই চলে আর আমাদের খাদ্যাভ্যাসও বদলে গিয়েছে। ফলে দিনে দিনে ক্রনিক রোগ ব্যাধি যেমনঃ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অস্থিক্ষয়, ক্যানসার ইত্যাদি প্রকোপ বহুগুণে বেড়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম এগুলো প্রতিরোধ করে।
শরীরের বাড়তি ওজন কমায়ঃ

বাড়তি ওজন কমাতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। শারীরিক চর্চা করলে ক্যালরি খরচ হয়। এভাবে আমরা যতই ব্যায়াম করবো ততই আমাদের ক্যালরী খরচ হবে এবং যার ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
কর্মস্পৃহা বাড়ায়ঃ

ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবারাহ হয়। এর ফলে আমাদের হৃদযন্ত্র ও রক্তলালি সচল থাকে। এর ফলে সমস্ত শরীরে একটি সুস্থ প্রাণস্পন্দন ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। এটা আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়ায়।
সুনিন্দ্রা আনেঃ

যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যান্ত উপকারী। ব্যায়াম অনিন্দ্র দুর করে, অতি নিদ্রা হ্রাস করে। অবশ্য একেবারে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা উচিত নয়। কারণ ব্যায়ামের পরে মানসিক চাঙা ভাবের কারণে ঘুম আসা বিলম্বিত হতে পারে।
যৌন জীবনের জন্য উপকারীঃ

যাদের যৌনজীবনে জড়তা কিংবা অনাগ্রহ এসেছে, তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যান্ত উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করলে যৌনস্পৃহা বাড়ে, যৌন মিলনের স্থায়ীত্বকাল বৃদ্ধি পায় এবং দাম্পত্য জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
ব্যায়ামের বিকল্পঃ

যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় না পান তাহলে নিয়মিত সালাত আদায় করুন। কারণ আমার জানা মতে, ব্যায়াম থেকে যে সব উপকারীতা পাওয়া যায় তার থেকে বেশী উপকারীতা পাওয়া যায় নিয়মিত সালাত আদায় করলে। আর তাছাড়া প্রত্যেক মুসলাম নর-নারীর উপর সালাত ফরজ।

সুতরাং বুঝায়ই যাচ্ছে যে সুস্থ দেহ ও মনের বিকাশের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন নিয়মিত সালাত আদায় করি এবং ব্যায়াম করি।

ধন্যবাদ…

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১১

ঘুরে আসুন সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট

সুন্দরবন বিধৌত বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বশেষ জেলা সাতক্ষীরা। নৈসর্গিক পরিবেশ ও সুন্দরবনের ছায়ায় ঘেরা এই জেলায় রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। প্রতি বছর শত শত মানুষ সাতক্ষীরা দিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ভ্রমণ করে থাকে। বর্তমানে সুন্দরবনের পাশাপাশি পর্যটন, ভ্রমণ ও চিত্ত বিনোদনের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট। ভ্রমণ, পিকনিক ও চিত্ত বিনোদনের সকল উপাদান নিয়ে দাড়িয়ে আছে এই দর্শনীয় ও মনোরম স্থানটি।
আসুন আমরা বিস্তারিত জানি সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেন ও রিসোর্ট সম্পর্কে ।
সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র হতে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে খড়িবিলা নামক স্থানে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত সাতক্ষীরা মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট। এটি স্থানীয়ভাবে মন্টু সাহেবের বাগান বাড়ী নামেও পরিচিত। দক্ষিনাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এই দর্শনীয় স্থান বা পিকনিক স্পটে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থান হতে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভ্রমণ বা পিকনিকের জন্য আগমন করে থাকে। বছরের সকল সময়ই উদ্যানটি দর্শনার্থীদের দ্বারা মুখরিত থাকে তবে বিশেষভাবে শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীদের ভিড়ে উদ্যানটি পরিপূর্ন থাকে। সমস্ত গার্ডেন ও রিসোর্টটি ৪০ একর অর্থাৎ ১২০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এবং প্রতিবছর স্পটের এলাকা আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই দর্শনীয় স্থানটি ব্যক্তি মালিকানায় তৈরি। যার ¯^ËvwaKvix সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান জনাব খায়রুল মোজাফফর (মন্টু)। তিনি শহরের উপকন্ঠে খড়িবিলা নামক স্থানে ১৯৮৯ সালে এই গার্ডেনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এখানে দর্শন ও চিত্ত বিনোদনের সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা শহর থেকে অল্প কিছু পথ গেলেই দেখতে পাবেন গার্ডেনের প্রবেশ পথে। যেখানে পাশাপাশি মুখ করে দাড়ানো আছে সূদৃশ্য দুটি ময়ূরের ভাষ্কর্য। গার্ডেনের প্রবেশের জন্য প্রথমেই টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে হয়। যার মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। গার্ডেনে প্রবেশ করার পর আপনি অনুভব করবেন মনোরম, ছায়া-সুশীতল এক নৈসর্গিক এক পরিবেশ।


গার্ডেনের অভ্যন্তরে রয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ, ফুল-ফল ও পশু-পাখির সমারোহ। উদ্যানের চারিদিকে অত্যন্ত দর্শনীয়ভাবে লাগানো হয়েছে ৬২৫টি বিভিন্ন জাতের আম, ৭২০টি নারিকেল ও ৭২৮টি মেহগনি গাছ। এছাড়াও সমগ্র উদ্যান জুড়ে লাগানো হয়েছে লিচু, আপেল, কমলা, ছবেদা, পেয়ারা, পামট্রি, কুল সহ বিভিন্ন প্রকারের কয়েকশত গাছ। সমস্ত গার্ডেন ও রিসোর্টটি মনোরমভাবে সুসজ্জিত করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের হাজারো ফুল গাছ দিয়ে। উদ্যানের অভ্যন্তরে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারনা করা হয়েছে বৃহদাকার ০৮টি লেক, একটি নেচারাল সুইমিং পুল ও দুটি বৃহদাকার মাছের এ্যাকুরিয়াম দিয়ে। এ্যাকুরিয়াম সমূহে নানান রঙের বিভিন্ন বিদেশী মাছ শোভা পাচ্ছে। বৃহদাকার লেক সমূহে মাছ চাষ করা হয়। দর্শনার্থীদের জন্য চমকপ্রদ একটি বিষয় হচ্ছে লেকে বড় বড় মাছ কর্তক ফিডার খাওয়া। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাথরুমও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে গার্ডেনে। পায়ে হাটার জন্য সুন্দর ঢালাই করা সাজানো-গোছানো পথ ও বসার জন্য সমগ্র গার্ডেন জুড়ে তৈরি করা হয়েছে টাইলস বাধানো বেঞ্চ। রাতে চলার জন্য সমগ্র গার্ডেন জুড়ে বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের বৈদ্যূতিক বাতি বসানো হয়েছে। যা রাতে গার্ডেনের চেহারাকে পরিবর্তন করে এক অন্য জগতের সৃষ্টি করে। এখানে যে সকল দর্শনার্থীরা আসেন তারা দিন ও রাতের উভয় সৌন্দর্যই উপভোগ করার জন্য চেষ্টা করেন। সমগ্র মোজাফফর গার্ডেন ও রিসোর্ট জুড়ে তৈরি করা হয়েছে হাতি, বাঘ, হরিন, জিরাফ, কুমির, পাখি, সাপ সহ নানা প্রাণীর ভাষ্কর্য। যা দর্শনার্থীদের মনে নতুন অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করে। আপনি যদি চকলেটের খোলা, বিস্কুটের প্যাকেট বা এজাতীয় কিছু ফেলাতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ফেলানো জিনিসটি গ্রহন করতে গার্ডেনে ক্যাঙ্গারু বা হুতোম পেঁচার ভাষ্কর্য বেশে দাড়িয়ে আছে ডাষ্টবিন। নতুন ডিজাইনের এই ডাষ্টবিন গুলো প্রথম দেখাতে আপনি হয়তো আশ্চর্যও হতে পারেন।


গার্ডেনের ভিতরে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি মিনি চিড়িয়াখানা। যা ইতিমধ্যে দর্শনার্থী ও প্রাণী পিপাষূ মানুষদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই মিনি চিড়িয়াখানায় হরিন, কুমির, সজারু, ময়ূর সহ বিভিন্ন প্রকারের পশু ও পাখি আছে। মোজাফফর গার্ডেন ও রিসোর্টে শিশুদের চিত্ত বিনোদনের নিমিত্তে তৈরি করা হয়েছে পৃথক শিশু পার্ক। সেখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগর দোলা, দোলনা, গাড়ী ড্রাইভিং সহ বিভিন্ন ইভেন্টের ব্যবস্থা আছে। লেকের পানিতে সবার জন্য আছে প্যাডেল চালিত বোট চড়ার ব্যবস্থা। অতিথীদের সাঁতার কাটার জন্যও প্রস্তুত রাখা আছে সব ধরনের সাজ সরঞ্চাম।
বিশেষ করে শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে মানুষজন এখানে আসে পিকনিক ও বনভোজন করার জন্য। গার্ডেনে পিকনিক করার জন্য বর্তমানে মোট ১০৫টি স্পট আছে। পিকনিকে আগত নারী-পুরুষদের পোষাক পরিবর্তনের জন্য আছে আলাদা গৃহ। দূর-দূরান্ত থেকে যারা পরিবহনের মাধ্যমে এখানে পিকনিকের জন্য আসেন তাদের পরিবহন রাখার জন্য গার্ডেনর অপর পাশে প্রায় ২০-৩০ বিঘা জমির উপর রয়েছে বিশাল গাড়ি পার্কিং এলাকা।
মোজাফফর গার্ডেনে দর্শনার্থীদের অবস্থানের জন্য রয়েছে একটি রিসোর্ট এলাকা। আধুনিক শিল্পকর্মে সুসজ্জিত একাধিক গেষ্ট হাউজ আছে এই এলাকায়। সেখানে ১৬টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষসহ অনেকগুলো সাধারন কক্ষ আছে। বর্তমানে আরোও কয়েকটি নতুন গেষ্ট হাউজের নির্মাণ কাজ চলছে। অনেক দর্শনার্থী পরিপূর্ণভাবে সৌন্দর্য উপভোগের জন্য গেষ্ট হাউজ সমূহে কয়েকদিন অবস্থান করে থাকেন। গার্ডেনে ঢুকেই ডান ধারে চোখে পড়বে একটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন। পানির উপর নির্মিত তিনতলা এই ভবনটির নীচ তলায় রয়েছে আধুনিক খাবারে সাজানো একটি রেষ্টুরেন্ট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে ২৫০ আসন বিশিষ্ট একটি সম্মেলন কক্ষ। বিভিন্ন দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান সম্মেলন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এটি ভাড়া নিয়ে থাকেন। এখানে অতিথী সেবাদানের জন্য আছে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ওয়েটার ও নিজস্ব বাবুর্চ্চি খানা।
মুসলিম ধর্মপ্রাণ ও নামাজী মানুষদের নামাজের জন্য গার্ডেনের ভিতরে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পানির উপর নির্মাণ করা হয়েছে আলাদা দুটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। এছাড়াও গার্ডেনে আছে নান্দনিক কৃত্রিম ফোয়ারা, রকমারি দোকানের সমাহার, হোটেল ও রেস্তোরা।
মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে আগত প্রত্যেক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা, তাৎক্ষনিক ও সার্বক্ষনিক সেবা ও প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। ভ্রমনে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী সবর্দা কর্মরত আছে। এছাড়াও সাতক্ষীরা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট বর্তমানে দক্ষিনাঞ্চল তথা সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে একটি দর্শনীয় স্থান। বিশেষ করে শীত মৌসুম ও বছরের অন্যান্য সময়েও সারাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনাথীর আগমন ঘটে এই উদ্যানে। প্রতিদিনের ব্যস্ত সময়ের মাঝে একটু সময় করে একদিন আপনিও ঘুরে আসতে পারেন সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট থেকে। ছায়া-সুশীতল নৈসর্গিক পরিবেশ আপনার সকল ক্লান্তি দূর করে কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনাকে জোগাবে শান্তির পরশ।

কিভাবে বুঝবেন আপনি বিয়ের উপযুক্ত হয়েছেন?

বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান এই তিনটি দেশে বিয়ে নিয়ে জনপ্রিয় প্রবাদ ‘শাদী দিল্লিকা লাড্ডু জো খায়েগা ওবি পস্তায়েগা জো নেহি খায়েগা ওবি পস্তায়েগা’ এই প্রবাদটি জানেনা এমন পাবলিকের সংখ্যা খুবই কম।ইদানিং আমারও ইচ্ছা হচ্ছে দিল্লিকা লাড্ডু খাওয়ার।কিন্তু সাধ থাকলেই কি সাধ্য হয়?দিল্লীকা লাড্ডু খাওয়ার জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন আছে।গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমতে ছেলেরা ২১+ হলেই বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়।ছেলেরা ২১+ হলেই কি বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়?? উহুঁ!আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া বার্তায় যেমন বিশ্বাস করিনা, তেমনি ২১+ হলেই ছেলেরা বিয়ের উপযুক্ত হয় এই নীতিতে বিশ্বাস করিনা।বিয়ে করতে অনেক যোগ্যতারই দরকার হয়।বিশ্বাস না হলে আপনার বিবাহিত বন্ধুদের/পরিচিতদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।আচ্ছা তার আর দরকার নেই।বিয়ে নিয়ে এত ক্যাচাল যখন করেই ফেলেছি তখন আমিই বলে দেয় আপনি দিল্লিকা লাড্ডু খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছেন কিনা মানে আপনি বিয়ে করার উপযুক্ত হয়েছেন কিনা।


১.একটা সময় প্রবাদ ছিল মাছের রাজা ইলিশ জামাইর রাজা পুলিশ।কিন্তু এখন যুগ পাল্টেছে।আগে পুলিশ দেখলে মানুষ ভয়ে পালাত এখন পুলিশ দেখলে মানুষ উল্টা ইট পাটকেল ছুড়েঁ মারে।পাবলিকের মন থেকে পুলিশ অবস্থান হারানোর পাশাপাশি বিয়ের বাজারেও নিজেদেও অবস্থান হারিয়েছে।বর্তমান বিয়ের বাজারে অভিবাবক থেকে কন্যাদের প্রথম পছন্দ।
ক.. RAB
খ..রাজউক কর্মকর্তা ।
গ..ব্যাংকার ।
ঘ..ঘুসে ভরপুর কোন সরকারী দপ্তরের সচিব,আমলা।

২.আমাদের সরকারগুলো চায় বিদেশী প্রভুদের গোলাম আর বিয়ের পর ললনারা চায় স্বামীকে গোলাম করে রাখতে।গৃহপালিত বিড়াল যেমন মনিবের ধমকেও মাথা নিচু করে ম্যাওঁ ম্যাওঁ করে আজকাল ললনারাও চায় বিয়ের পর স্বামী গৃহপালিত বিড়ালের মত হয়ে থাকুক ।আর এমন করে থাকতে হলে আপনাকে যা করতে হবেঃ

ক..বউ ছাড়া সবাই খারাপ।
খ..বউয়ের নাকি কান্নায় কাতর হয়ে মা-বাবা,ভাই-বোন সবার সাথে বউয়ের জন্য ঝগড়া করতে হবে ।
গ..বিয়ের কয়েক মাস পর মা-বাবাকে ছেড়ে আলাদা ফ্ল্যাটে উঠতে হবে।
ঘ..মাস শেষে বেতনের সব টাকা বউয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।বউয়ের যদি ইচ্ছা হয় তাহলে আপনাকে কয়েকশ টাকা দিবে ।আর যদি না দেয় তাহলে বিড়াল যেমন সবার অগোচরে পাতিলে হামলা দেয় আপনাকেও তেমন বউয়ের ভ্যানিটি ব্যাগে হামলা দিতে হবে।

৩. সবার উপর মানুষ সত্য বিয়ের পর সত্য শশ্বর বাড়ি-এই নীতিতে আপনাকে চরম ভাবে বিশ্বাসী হতে হবে।আপনি যে জান প্রাণ দিয়ে এই নীতিতে বিশ্বাসী এইটা প্রমানের জন্য যা যা করতে হবে।

ক.. বিয়ের পর আপনার বাবা-মার সাথে খালা-খালু,ভাই-বোনের সাথে পাড়াত ভাই-বোন বিপরীতে শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে বাবা-মা আর শালা-শালীদের সাথে ভাই বোনের মত আচরন করতে হবে।
খ.. দুই ঈদে কিংবা পূজায় বউয়ের জন্য শাড়ী গহনার পাশাপাশি শ্বশুর-শাশুড়ি,শ্যালক-শ্যালীকাদের জন্য কিছু না কিনলে আর যাই আসুক আপনার ঘরে ঈদের/পূজার আনন্দ আসবেনা।
গ..বউয়ের ১৪গুষ্টির বিভিন্ন অনুষ্টানে দামী গিফটের পাশাপাশি কামলা দিতে হবে বিনা বাক্যে।
ঘ..শ্বশুর বাড়ির যেকোন সমস্যায় সবার আগে আপনাকে দেখতে চাইবে আপনার গৃহিনী।

৪.. সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে-আবহমান গ্রাম বাংলায় বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটিতে আস্তে আস্তে পাল্টে হয়ে যাচ্ছে সংসার সুখের হয় পুরুষের গুনে।সংসারের সুখের জন্য শুধু চাকরি করে টাকা আনলে হবেনা।আরো অনেক কিছু করা লাগবে।

ক..টিভির রিমোট ধরতে পারবেনা।বউ হিন্দী সিরিয়ালের নায়িকাদের সাজগোজ,আবালামীÑছাবলামী থেকে দুঃখের দৃশ্যে দেখার সময় বাচ্ছা যাতে ডিস্টার্ব করতে না পারে সেজন্য বাচ্ছাকে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা খেলতে হবে।
খ.. কাজের বুয়া যেদিন আসবেনা সেদিন আপনার বউয়ের মাথা ব্যাথার গ্যারান্টি ১০০%।তাই অফিসে যাওয়ার আগে পিচ্ছির মানে আপনাদের কয়েকমাস বয়সী উলু উলু বাবুটার রাতের হিসুর যত কাথাঁ আছে সব আপনাকেই ধুতে হবে।
গ.. সুন্দরের প্রশংসা করা ছেড়ে দিতে হবে। বউয়ের সামনে সুন্দরী কোন নারীর সামান্য প্রশংসাও করা যাবেনা।যতই নিখুত সুন্দরী হউকনা কেন কোন না কোন খুঁত ধরে বউকে উপরে রাখতে হবে।
ঘ.. বউয়ের কথা যতই আজাইরা প্যাচাঁল হউক না কেন সুবোধ বালকের মত শুনতে হবে।

প্রিয় পাঠক,উপরে এতক্ষন যা পড়লেন সে যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে আপনি বিয়ের উপযুক্ত হয়েছেন এবং আপনার দাম্পত্য জীবন বেশ সুখের হবে।সো,আর দেরী কিসের?এখনই খেয়ে ফেলুন সেই ঐতিহাসিক দিল্লির লাড্ডু মানে বিয়ে করে ফেলুন। আর আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিতে ভুলবেন না যেন।অন্তত বিবাহ পরবর্তী জীবনে আপনার উপর অত্যাচারের মাত্রা যাতে কম হয় সে ব্যাপারে আল্লাহর কাছে দোয়া তো করতে পারব .........!!!!!!

সাতক্ষীরার ব্যতিক্রমী মটর সাইকেলের হাট

আপনারা নিশ্চয়ই সবাই হাট সম্পর্কে পরিচিত। আমাদের গ্রামাঞ্চলে এমনকি শহরেও রয়েছে হাটের প্রচলন। তবে আজকাল গ্রাম্য ও শহরের হাটের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিরাট পার্থক্য। শহরে প্রতিদিন বাজার বসে এবং জনসাধারন সেখান থেকে বাজার-ঘাট করে থাকে, সেজন্য আজকাল শহরে হাটের প্রচলন তেমনভাবে চোখে পড়ে না। তবে গ্রামে সাধারনত সপ্তাহে এক বা দুই দিন একটি নির্দিষ্ট স্থানে বাজার বসে, যাকে বলা হয় হাট।
এই হাট থেকে গ্রামের লোকজন সওদাপাতি করে থাকে। সাধারনত হাটে আলু, বেগুন,পটল, শাক-সবজি বা মাছ-মাংস পাওয়া যায়। এতো গেল আমাদের চির চেনা মাছ-মাংসের হাটের কথা, তবে কখনও এমন কোন হাটের কথা কি শুনেছেন, যেখানে শুধুমাত্র মটর সাইকেলের হাট বসে? যেখানে লাইনের পর লাইন সারিবদ্ধভাবে মটর সাইকেল সাজানো আছে বিক্রির জন্য, মানুষ আসছেন এই হাটে এবং মটর সাইকেল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন?
হ্যা, এমনই ব্যতিক্রমী মটর সাইকেলের হাট বসে সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরা শহরের আমতলায় বসে এই মটর সাইকেলের হাটটি। এই নির্দিষ্ট স্থানে সপ্তাহে একদিন প্রতি শুক্রবার বসে মটর সাইকেলের হাট। অন্তত শ'খানেক মটর সাইকেল এই হাটে সারি সারি সাজানো থাকে বিক্রয়ের জন্য। মটর সাইকেল গুলো সবই থাকে পূর্বে ব্যবহৃত। যারা মটর সাইকেল বিক্রয় করতে চান তারা হাট কমিটির সাথে নিবন্ধিত হয়ে এই হাটে তোলেন তাদের মটর সাইকেল। অনেকে সদ্য ক্রয় করা মটর সাইকেলও হাটে তোলেন বিক্রয়ের জন্য। যারা মটর সাইকেল ক্রয় করতে চান তারা হাটে গিয়ে মটর সাইকেল পছন্দ করার পর টাকা ও রেজিষ্ট্রেশন সমস্যা মিটিয়ে মটর সাইকেলটি নিয়ে যান তার ক্রয় করা জিনিস হিসাবে। এই হাটে জনসাধারনের সমাগম ও মটর সাইকেল ক্রয়-বিক্রয় মোটামুটি কম নয়। হাটটি সাজানো থাকে চারি ধারে রঙ্গিন সামিয়ানার কাপড় দ্বারা। যে কেউ এখানে আসলে বুঝতে পারবে মটর সাইকেলের হাটের চমৎকারিত্ব সম্পর্কে।
দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে মটর সাইকেলের রয়েছে সবচেয়ে বেশী কদর। সেজন্য সাতক্ষীরার এই মটরসাইকেলের হাটটির রয়েছে ভালই জনপ্রিয়তা। মটর সাইকেল ক্রয় করার দরকার হলে আপনিও একবার চেষ্টা করতে পারেন এই হাট থেকে।

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১১

সহজেই লুকিয়ে ফেলুন আপনার পিসির হার্ডডিস্ক


অনেক সময় দেখা যায় নিজের ব্যাক্তিগত কম্পিউটারটি অন্য কেউ ব্যাবহার করার প্রয়োজন হয়ে উঠেএমন সময় কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারেযেমন, কম্পিউটারে হয়তো আপনার ব্যাক্তিগত কিছু আছে যা অন্য কাউকে দেখতে দিতে চান নাআর এ সমস্যার সমাধান হিসেবে আপনি চাইলে আপনার হার্ড ডিস্ক ড্রাইভগুলোকে লুকিয়ে বা স্থগিত করে রাখতে পারেন, যাতে অন্য কেউ ড্রাইভগুলো দেখতে বা প্রবেশ করতে না পারে


কাজটি যেভাবে করবেনঃ

Start Menu > Run এ গিয়ে gpedit.msc লিখে এন্টার দিন

Group Policy নামে একটি Window আসবে

User configuration > Administrative Templates > Windows Components > Windows Explorer Commend দিন

ডানপাশে অনেকগুলো Options দেখা যাবে

ড্রাইভগুলো লুকানোর জন্য “Hide these specified drives in My Computer” এ ডাবল ক্লিক করুন

নতুন একটি Window আসবে সেখানে Enable নির্বাচন করুন

নিছে একটি ড্রপ ডাউন মেনু দেখা যাবেড্রপ ডাউন মেনুতে ক্লিক করে যে কোন একটি অথবা সবগুলো ড্রাইভ Hide করার জন্য Restrict all drives নির্বাচন করে Apply > ok করুন


এবার My Computer খুলে দেখুন ড্রাইভগুলো কোথায় যেন চলে গিয়েছে

একই নিয়মে ড্রাইভগুলোকে স্থগিত করে রাখতে পারেন

এর জন্য “Prevent access to drives from My Computer” এ ডাবল ক্লিক করে উপরক্ত ৬ এবং ৭ নং নিয়ম অনুযায়ী কাজটি করে নিতে পারেন

১০পূর্বের সেটিংস এ ফিরে যেতে ৬ নং Option এ থাকা অবস্থায় Not Configured করে দিতে হবে

ব্লাড গ্রুপের বৈশিষ্ট্য


”O+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে

”O-” এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে নাসমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল
”A+” এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকেএরা আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন

”A-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগীকিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগীএদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশিএদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন

”B+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে

”B-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে

”AB+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বু্দ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে

”AB-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুববেশি রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন